ফের আদালতে হাজির জ্যাকলিন, ২ লক্ষ টাকার জামিন পেয়েও স্বস্তিতে নেই বলি নায়িকা, বাড়ছে জল্পনা
২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বেশ ভালভাবেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন। তবে কেন তিনি হাজির ছিলেন, তা নিয়েই বাড়ছে জল্পনা।
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে নিয়ে চর্চা মোটেই থামবার নয়। বলিউড এবং কন্ট্রোভার্সি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের।
ফের বড়সড় বিপাকে পড়লেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন। ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই আদালত চত্ত্বরে জ্যাকলিনকে দেখা যেতেই ফের নয়া চর্চা শুরু হয়েছে।
২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে গত ১৫ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। এর আগেও জ্যাকলিনের জামিনের মেয়াদ দুবার বাড়ানো হয়েছিল। যার ফলে কয়েকদিনের জন্য স্বস্তি পেয়েছিলেন নায়িকা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। তবে ক্ষণিকের স্বস্তি মিললেও ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বেশ ভালভাবেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের।
সুকেশের চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের এই মামলার শুনানি হবে ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ। শুনানির জন্যই আদালত চত্ত্বরে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন। তবে শুনানি দিন ফের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জ্যাকলিন যখন তাঁর জামিনের আবেদন করেছেন সেই সময় ইডির তরফে এই জামিনের বিরোধিতা করবে বলে জানানো হয়েছিল। ইডি-র তরফেও জানানো হয়েছে জ্যাকলিন এই মামলার তদন্তে কোনও সাহায্য করেননি। ইতিমধ্যেই জ্যাকলিনকে নিজেদের হেফাজতে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইডি।
জ্যাকলিনের জামিনের তুমুল বিরোধিতা করছে ইডি। অন্যদিকে নায়িকার আইনজীবীর দাবি, ইডি ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে তাই গ্রেফতারের কোনও প্রশ্নই নেই। তবে ইডির আইনজীবীরাও কোর্টকে জানিয়েছেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জ্যাকলিন।
ইডির আইনজীবী আরও জানিয়েছে , দেশ ছেড়েও পালাতে পারেন জ্যাকলিন। তবে এদিন এই প্রশ্ন আদালতের সামনে রাখতেই কোর্ট স্পষ্ট জানতে চায়, তাহলে এতদিন কেন গ্রেফতার করা হয়নি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে? বিচারক ইডিকে আর বলেন, কারও মুখ দেখে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তাহলে এতদিন ধরে তদন্ত চলাকালীনও কেন গ্রেফতার হল না জ্যাকলিন। অন্যদিকে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অন্য অভিযুক্ত তো জেলে রয়েছেন।
ইডির সূত্র থেকে জানা গেছে, এখনও অনেক সত্য গোপন রাখছে জ্যাকলিন। বারবার নিজের বয়ান বদল করছে। এমনকী প্রমাণের কারচুপি করারও অভিযোগ উঠেছে জ্যাকলিনের নাম। জানা গিয়েছে সুকেশ গ্রেফতার হওয়ার পরই নিজের ফোন থেকে সমস্ত ডেটা মুছে ফেলেছে জ্যাকলিন। গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকার গয়না উপহার দিয়েছেন এই বলি নায়িকাদের। অন্যদিকে সুকেশের সঙ্গে বেশ ভাল ভাবেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের।
সুকেশ চন্দ্রশেখর নিজের মুখে কবুল করেছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে ৫০ লাখেরও বেশি মূল্যের একটি ঘোড়া উপহার দিয়েছিলেন এবং শুধু তাই নয় বিড়ালপ্রেমী জ্যকলিনকে ৯ লাখ টাকার একটি বিড়ালও উপহার দেন সুকেশ । এখানেই শেষ নয় সুকেশের আইনজীবী জানান, জ্যাকলিনকে দামি অলঙ্কার থেকে পোশাক সবটাই দিয়েছেন সুকেশ।
জ্যাকলিনের মন জিততেই কোটি কোটি টাকার উপহার দিতেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সব মিলিয়ে নাকি সুকেশ ১০ কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। জ্যাকলিনের সঙ্গে নিয়মিত ফোনেও কথা হত সুকেশের। এমনকী প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়ে সুকেশ যখন তিহার জেলে ছিল তখনও নিয়মিত কথা বলেছেন দুজনে। যদিও জ্যাকলিন সুকেশের জেলে থাকার কথা জানতেন কিনা তা স্পষ্ট নয় আইনজীবীর কথার। যদিও জ্যাকলিন দাবি করেছেন তাকে অন্ধকারে রেখেই প্রতারণা করা হয়েছে। তিনিও প্রতারণার শিকার।