Mithun-Sridevi: সত্যিই কি শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন? কেন ভেঙেছিল তাঁদের সম্পর্ক?

কমল হাসানের প্রাক্তন স্ত্রী সরিকার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন মিঠুন। ১৯৭৮ সালে হামারা সংসার ছবিতে কাজ করেন মিঠুন সরিকার সঙ্গে কাজ করেন। সে সময় তাঁদের প্রেম হয়। তারপর তেরে পেয়ার মে (১৯৭৮), ঘমন্ডি )১৯৮১), দিলওয়ালা (১৯৮৬) সালে তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু, সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি।

মডেল অভিনেত্রী হেলেনা লুকের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। পরে বিয়েও করেন। ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু, বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। মাত্র ৪ মাস পর বিয়ে ভেঙে যায়।

এরপর মিঠুনের জীবনে আসে যোগীতা বালি। তিনি কিশোর কুমারের প্রাক্তন স্ত্রী ছিলেন। পরে মিঠুনকে বিয়ে করেন। কিশোর কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল য়োগিতা বালির। দু বছরের মাথায় হয় বিচ্ছেদ। তারপর মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি।

১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন মিঠুন ও যোগিতা। তাঁদের তাঁর তিন পুত্র ও এক কন্যা করেছে। মিমো চক্রবর্তী, রিমো চক্রবর্তী, নমাসী চক্রবর্তী ও দিশানী।

শোনা যায়, বিয়ের পর শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মিঠুন। ১৯৮৪ সালে জাগ উঠা ইনসানে ছবিতে কাজ করেন তারা দুজন। এই সময়ই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা।

শোনা গিয়েছে, গোপনে কোর্ট ম্যারেজ করেন তারা। কিন্তু, বিয়ের কথা গোপন করে রেখেছিলেন মিঠুন ও শ্রীদেবী। এই সময় নাকি যোগীতা বালির সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে।

শোনা যায়, তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকতেন। তবে, মিঠুনের সঙ্গে ডিভোর্স হয়নি সে সময়। এই কথা জানতে পারেন শ্রীদেবী। যোগিতা বালিকে ডিভোর্স না দেওয়ার কারণে শ্রীদেবী তাঁকে ছেড়ে চলে যান।

সে সময় কাজের কারণে বনি কাপুরের বাড়িতে থাকতেন শ্রী দেবী। মোনা কাপুরই শ্রীদেবীকে নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু, সে সময় বনি কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি।

এতে মোনা কাপুর ও বনি কাপুরের সম্পর্কে চিড় ধরে। বিচ্ছেদ হয় মোনা কাপুর ও বনি কাপুরের। পরে বনি কাপুর শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন। শোনা যায়, এক সময় মিঠুন ও বনি কাপুর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু, শ্রীদেবীর কারণে দুজনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।

সিনে দুনিয়ায় কেটে গিয়েছে ৫০টা বছর। সারা জীবনে অভিনয় করেছেন প্রায় ৩৭০টি ছবি। কারও কাছে ডিস্কো ডান্সার তো কারও কাছে তিনি মহাগুরু। নিজের কেরিয়ারে একাধিক হিট উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।