সইফ আলি খানের ওপর হামলার পরই দ্রুত ঘটনার তদন্তে নেমেছিল মুম্বই পুলিশ। তদন্তের জন্য সাতটি দলও গঠন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকেই তল্লাশি চলছিল।
হামলার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে মুম্বই পুলিশে (Mumbai Police) জালে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারী (Saif Ali Khan Attacked)। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সইফের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায়। এই ঘটনার পরই তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশের একটি দল। কিন্তু হামলাকারীকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে বান্দ্রা স্টেশন থেকে।
সইফ আলি খানের ওপর হামলার পরই দ্রুত ঘটনার তদন্তে নেমেছিল মুম্বই পুলিশ। তদন্তের জন্য সাতটি দলও গঠন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকেই তল্লাশি চলছিল। শুক্রবার অভিযুক্তদের বান্দ্রা স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের অনুমান, হামলার পরই সইফের ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সে পোশাক পরিবর্তন করেছিল। তাই পাকড়াও করতে সমস্যা। যদিও হামলাকারীর সিসিটিভি ফুটেজ গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তাই মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সইফের ফ্ল্যাটে হামলাকারীর আনাগোনা ছিল। তাই ফ্ল্যাট সম্পর্কে সে ওকাবিহাল ছিল। সিসি ক্যামেরা সম্পর্কেও অবগত ছিল। পুলিশের একটি অংশ মনে করছে ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় পাশের একটি কম্পাউন্ডের দেওয়াল বেয়ে উপরের তলায় পৌঁছানোর জন্য ফায়ার শ্যাফট ব্যবহার করেছিল।
সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান মুম্বইয়ের অভিজাত বান্দ্রা পশ্চিম এলাকায় থাকেন। ১২ তলার ফ্ল্যাট বাড়ির ৮ তলায় পরিবার নিয়ে থকেন সইফ আলি খান। ২০১৩ সালে ৪৮ কোটি টাকায় এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন সইফ। বর্তমান বাজারমূল্য ১০৩ কোটি টাকা। এই বাড়িতে রয়েছে একটি শরীরচর্চার ঘর। আর রয়েছে একটি গানবাজনার ঘর। সইফ আলির ফ্ল্যাটে রয়েছে নিজস্ব সুইমিং পুলও। বাড়ির প্রতিটি তলায় তিনটি বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তবে তাদের রয়েছে ৫টি ঘর। ফ্ল্যাটটি প্রায় ৩ হাজার বর্গফুটের। সইফ ও করিনা তাদের সতগুরু শরণ বাড়িতে যাওয়ার আগে তারা ফরচুন হাইটস নামের একটি বাড়িতে থাকতেন। হামলার পরই সইফ আলি খানকে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।