ভবেশ এবং ধারার কথা মনে আছে? আমরা অনেকেই জানি না যে, ভারত থেকে জার্মানিতে যাওয়া ভবেশ এবং ধারা তাঁদের ছোট্ট শিশুকন্যাকে হারিয়েছিলেন জার্মান সরকারের ‘সর্বনেশে’ আইনকানুনের নিয়মে।
তবে, রিল লাইফের ঘটনা জার্মানির নয়, ঘটেছে সোজা নরওয়েতে। যেখানে সুখী দাম্পত্য গড়েছেন মিস্টার এবং মিসেস চ্যাটার্জি।
তাঁদের দুই সন্তান, শুভ এবং সূচি। এদেরকে নিয়েই কাজে আর ছুটিতে মিলেমিশে পেরিয়ে যাচ্ছিল বিদেশের দিনগুলো।
বাঙালি মা-ও বিদেশ-বিভূঁইয়ে গিয়ে সযত্নে লালন করছিলেন সন্তানের দুষ্টুমি।
আর, বাঙালি থাকবে, অথচ দুর্গাপুজো থাকবে না, তা কি হয়?
কোঁচা দেওয়া ধুতি আর লাল পেড়ে শাড়িতে অষ্টমীর সকালে সেজে উঠল গোটা পরিবার।
কিন্তু, আসলে কেউ বুঝতেই পারেনি, যে, এর পরেই ঘনিয়ে আসতে চলেছে কালো অন্ধকার দিন।
সন্তানকে কেন হাত দিয়ে খাবার খাওয়ান? সন্তানকে কেন নিজের সাথে নিয়ে ঘুমান? অদ্ভুত ‘অপরাধে’ প্রায় সন্তানহারা হওয়ার উপক্রম।
ভবেশ এবং ধারার মতোই, নিজেদের খুদে সন্তানদের হাতছাড়া করতে হল মিস্টার এবং মিসেস চ্যাটার্জিকে।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের অবিস্মরণীয় জুটি প্রকাশ করতে চলেছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমাটি।
১৭ মার্চ প্রেক্ষাগৃহের স্ক্রিনে ফুটে উঠতে চলেছে এই শিহরণ জাগানো ঘটনা।
যেখানে অসহায় দম্পতির সহায় হতে চলেছেন থিয়েটার-মঞ্চে আলোড়ন জাগানো অভিনেতা জিম সার্ব।
বাবা-মায়ের অসহায়তা জানতে স্ক্রিনে আবির্ভূত হন ‘পঞ্চায়েত’ এবং ‘চোলি কে পিছে’-র তাক লাগানো তন্বী নিনা গুপ্ত।
বিচারকের আসনে দেখা যায় বাঙালি অভিনেতা বরুণ চন্দকে।
ভেঙে পড়ার পরেও লড়াই জারি থাকে। সন্তানের বাবা-মা হিসেবে সারা দেশকে জাগিয়ে তোলেন সম্বলহীন জুটি।
আনাচেকানাচে কোথাও কখনও অলক্ষ্যে অগোচরে বাড়তে থাকে দূরত্ব।
প্রেমিক হিসেবে এতদিন যিনি হাসিয়েছেন বা কাঁদিয়েছেন আপামর বাঙালি জনগণকে, সারা ভারতের জন্য এবার সেই অনির্বাণ ভট্টাচার্য কি পারবেন বাবা হওয়ার লড়াইয়ে জিতে আসতে?