
Bollywood News: বলিউডের নতুন প্রজন্মের তারকা সারা আলি খান। কিন্তু প্রেম, সম্পর্ক কিংবা জীবনদর্শনে তার দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে ভিন্ন। সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের কন্যা ছোটবেলাতেই দেখেছেন দাম্পত্যে ভাঙ্গন। ফলে সম্পর্ক, বন্ধন নিয়ে এক প্রকার উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা কাজ করা খুব স্বাভাবিক।
তাই সইফ আলি খানের কন্যা নিজের মতো করে সম্পর্কের সূত্র তৈরি করে নিয়েছেন। আদৌ মানুষটি তার জন্য সঠিক কি না, তা বোঝার জন্য একটি তত্ত্ব মেনে চলেন সারা। যেখানে আজকের প্রজন্ম ডেটিং অ্যাপে একে অপরকে খোঁজে, সারা সেখানে এখনো বিশ্বাস রাখেন চোখে চোখ রেখে কথা বলায়, মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগে। এতে তিনি আরও ভালো করে মানুষকে বুঝতে শিখেছেন। এখন অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন বলেই বিশ্বাস তার।
তিনি আরও বলেন প্রেমের সম্পর্কে একে অপরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া দরকার। তার কথায়, ‘‘প্রত্যেকের ভালবাসা আলাদা ধরনের হয়। সঙ্গী আপনাকে সে ভাবে ভালবাসবে না, ঠিক যে ভাবে আপনি ভালবাসা পেতে চান। কিন্তু যত ক্ষণ তারা তাদের সেরাটুকু দিচ্ছে, তত ক্ষণ সব ভাল’’।
তাহলে সঙ্গীর মধ্যে 'রেড ফ্ল্যাগ' বা 'গ্রিন ফ্ল্যাগ' বাছেন কীভাবে?
সারার সঙ্গী যদি লোকসমাজে তাদের সম্পর্ককে মান্যতা দিতে না চান, তাহলে সারার জন্য তিনি 'রেড ফ্ল্যাগ' নন। শুনে অবাক হলেন তো? এ প্রসঙ্গে সারা বলছেন, ‘‘যদি আমার সঙ্গী আমাদের সম্পর্ক স্বীকার করতে রাজি না হয়, তা হলে আমি তাকে ১০৮টি গ্রিন ফ্ল্যাগ দিয়ে দিতে পারি। আমার কাছে এই পরিস্থিতি খুব বিরল আসলে। আমি চাই না, আমার সঙ্গী পুরুষ বলে সমস্ত বিল দেবে। আমরা ভাগাভাগি করে নেব। তা ছাড়া সে যদি আমায় সারা ক্ষণ জিজ্ঞাসা করে, আমি কোথায় আছি না আছি, বা জিপিএসের মাধ্যমে আমাকে ট্র্যাক করে অথবা আমার অবস্থান বার বার প্রমাণ করতে হয়, তা হলে সেটার মধ্যে আমি নেই।’’
খোলামেলা পরিবেশে, খোলামেলা সম্পর্কে স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে চায় সারা। ভীষণভাবে আঁকড়ে ধরা, সম্পর্কে পুরোপুরি উৎসর্গ করে দেওয়া, একে অপরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা - এই আচরণগুলিতে দম বন্ধ হয়ে আসে তার। তার মনে হয়, এই আচরণ ও স্বভাবগুলিই পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ করার বৈশিষ্ট্যর জন্ম দেয়। এই ধরণের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।