Satish Kaushik Death Controversy: সতীশ কৌশিক ৩০ বছরের পারিবারিক বন্ধু, বললেন 'অভিযুক্ত' দিল্লির ব্যবসায়ী

বিকাশ মাল্লু বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। পাশাপাশি হোলির পার্টির একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি বলেন সতীশ কৌশিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলাপ।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 12, 2023 1:37 PM IST

ক্রমশই জটিল হচ্ছে মুম্বইয় পরিচালক সতীক কৌশিকের মৃত্যু রহস্য। ইতিমধ্যেই নাম জড়়িয়ে গেছে দিল্লির প্রথম সারির ব্যবসায়ী তথা কুবের কর্তা বিকাশ মাল্লুর। কারণ হোলির দিনে বিকাশ মাল্লুর পার্টিতে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। তারপরই রাতের দিকে অসুস্থ হয়ে প়ড়েন। নিজের গাড়ির চালককে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সতীশ কৌশিক। যাইহোক ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু নিষিদ্ধ ওষুধ। বিকাশ মাল্লুর স্ত্রীও স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুকে এখন কুবের কর্তা বিকাশ মাল্লু।

শনিবারই বিকাশ মাল্লুর স্ত্রী দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় আরোরার কাছে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ সতীশ কৌশিককে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত খুন। তিনি আরও বলেছেন মাত্র ১৫ কোটি টাকা নিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে সতীশ কৌশিকের বিবাদ হয়েছিল। স্বামী বিকাশ মাল্লু সতীশ কৌশিককে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা সতীশ কৌশিক ফেরত দিতে চাইছিলেন না। তারপরই তাঁর স্বামী পরিকল্পিতভাবে পরিচালককে হত্যা করে। তিনি আরও বলেছেন বিকাশ মাল্লি সহযোগীদের সাহায্যে সতীশ মাল্লুকে হত্যা করেছে। তাঁর ফার্মাহাইসেই ড্রাগ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

 

যাইহোক শনিবার স্ত্রী অভিযোগ করেন। আর তারপরই স্বামী মুখ খোলেন। তবে পুলিশের কাছে নয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে। সেখানে বিকাশ মাল্লু বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। পাশাপাশি হোলির পার্টির একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি বলেন সতীশ কৌশিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলাপ। ৩০ বছর ধরে পারিবারিক বন্ধু ছিলেন সতীশ কৌশিক। তিনি আক্ষেপ করেছেন, যে ভুল ভাবে তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই মৃত্যুর ঘটনায়। তবে হোলির দিন তাঁর ফার্ম হাইসে উপস্থিত অন্যান্যদের সঙ্গে সতীশ কৌশিক যে আনন্দ করেছেন তাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন সতীশ কৌশিকের এই মৃত্যু নিছকই একটি ঘটনা। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী যে তাদের হতে হবে তা কেউ আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি।

তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। তারা তথ্য প্রামণ সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা এমন কিছু পাননি যা দেখে তাদের সন্দহ ঘনীভূত হয়। ফার্মহাউস থেকে আপত্তিকর কিছু পাওয়ার তথ্যের ওপর এখনও জোর দিতে নারাজ দিল্লি পুলিশ।

Share this article
click me!