শক্তি কাপুর এবং শিবাঙ্গী কোলহাপুরের ৪৩ বছরের বৈবাহিক জীবন। শক্তি কাপুর খুলাসা করেছেন যে তিনি পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এবং শিবাঙ্গীর সামনে একটি শর্তও রেখেছিলেন। জেনে নিন কি ছিল সেই শর্ত।
বলিউড অভিনেতা শক্তি কাপুর এবং শিবাঙ্গী কোলহাপুরের ৪৩ বছরের বৈবাহিক জীবন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শক্তি কাপুর খুলাসা করেছেন যে তিনি পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়াও শক্তি কাপুর এই তথ্যটিও প্রকাশ করেছেন যে বিয়ের সময় তিনি শিবাঙ্গীর সামনে একটি শর্ত রেখেছিলেন।
শক্তি কাপুর বলেন, ‘আমি ওর সাথে দেখা করেছিলাম। ও একজন শিশুশিল্পী ছিলেন এবং আমি ছবিতে একটি বড় চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। ও আমার থেকে ১২ বছরের ছোট। আমরা দেখা করেছি, প্রেম হয়েছে এবং আমি নিজেই ভেবেছিলাম যে এত ঘরোয়া এবং সুন্দরী মেয়ে আমি কোথায় পাব? একদিন, আমি ওকে বলেছিলাম যে এই সমস্ত কিছুর কারণে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আমার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার প্রয়োজন। এতে ও বেশ রেগে গিয়েছিল।’
শক্তি কাপুরের শর্ত
এরপর শিবাঙ্গীকে প্রেম নিবেদন করার কথা বলতে গিয়ে শক্তি কাপুর বলেন, 'আমি ওর কাছে গিয়েছিলাম এবং ওর কাছে অনুনয়-বিনয় করেছিলাম। তারপর আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলাম যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। আমি এও বলেছিলাম যে আমি চাই বিয়ের পর তুমি গৃহবধূ হয়ে থাকো। এরপর আমরা কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম এবং তারপর অনেকেই আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছিল। আমার জন্য ও তার গানের কেরিয়ার এবং বাকি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিল। আজও আমি হাত জোড় করে ওকে ধন্যবাদ জানাই।'
এভাবেই হয়েছিল শক্তি-শিবাঙ্গীর বিয়ে
শিবাঙ্গী কোলহাপুরে একটি নামকরা মারাঠি পরিবারের সদস্য। তার বোন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরে। অন্যদিকে, শক্তি কাপুর একটি পাঞ্জাবি পরিবার সদস্য। দুজনের আলাদা সংস্কৃতির কারণে বিয়ের সময় শক্তি কাপুরের পরিবারের লোকজন খুশি ছিলেন না। যাইহোক, ১৯৮২ সালে দুজনে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। এই বিয়ে থেকে শক্তি-শিবাঙ্গীর দুটি সন্তান রয়েছে, যাদের নাম সিদ্ধান্ত কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুর।