মৃত্যুর বহু বছর আগে, এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় খোদ লতাজি জানান, তাকে তার নিজের বাড়িতেই খাবারে বিষ দিয়ে হত্যায় চেষ্টা করা হয়েছিল।
যাঁর গানের সুরে থমকে যায় সময়। যার কন্ঠে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। দেশের মানুষ যাকে দেবী সরস্বতী জ্ঞানেই শ্রদ্ধা করেন। লতা মঙ্গেশকরে আজও দেশবাসীর মনে রয়েছে নিজের সুরের মাধ্যমে। সেই সুরসম্রাজ্ঞী মৃত্যুর বহু বছর আগে, এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় জানান, তাকে তার নিজের বাড়িতেই খাবারে বিষ দিয়ে হত্যায় চেষ্টা করা হয়েছিল।
লতা মঙ্গেশকরের জীবনে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছিল। যা তিনি কখনও মনে করতে চাননা। তাঁর খাবার প্রতিদিন একটু একটু করে বিষ দিয়ে ওনাকে স্লো পয়জনিং করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে। সেই সময় লতাজির বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর। এইভাবে খাবারের সঙ্গে বিষ শরীরে প্রবেশ করতে করতে একটা সময় শরীর দুর্বল হতে থাকে এবং প্রায় ৩ মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় লতাজি বলেছিলেন যে মঙ্গেশকর পরিবার এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি কখনও মনে রাখতে চায় না। আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তবে এই ষড়যন্ত্রও ফাঁস হয়ে যায়। লতাজির বাড়িতে যে রাঁধুনি রান্না করতেন, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সে পালিয়ে যায়। লতাজি নিজেই বলেছিলেন যে আমার পরিবারের একজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যিনি রাঁধুনি-কে দিয়ে এই কাজটা করিয়েছিল। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রমাণের অভাবে তাকে শাস্তি দেওয়া যায়নি। এভাবে যে ব্যক্তি লতাজিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সে রক্ষা পেয়ে যায়।