মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে এসেছিল উত্তম কুমারের তথ্যচিত্র নিয়ে নতুন জল্পনার খবর। ছবিতে একাধিক দৃশ্যে মহানায়ককে খাটো করে দেখানো হয়েছে। ফলে তড়িঘড়ি আপত্তি তোলে সেই ছবি নিয়ে তাঁর পরিবার। এই নিয়ে মামলাও দায়ের করা হয়। অবশেষে সেই মামলার জেরেই স্থগিতাদেশ জারি হল তথ্যচিত্রের ওপর।
রাত পোহালেই মুক্তির কথা ছবি এই ছবির। শুক্রবারই প্রকাশ্যে আসত যেতে নাহি দিব ছবিটি। কিন্তু বাদ সাধে ছবির চিত্রনাট্য। উত্তম কুমার এখনও দর্শকদের মনে যে জায়গা করে বসে রয়েছেন, তাতে সামান্যতম আঘাত হানতে পারে এমন কিছু চিত্রনাট্যে থাকলেই সমস্যা। এমনটাই ঘটল এবার নতুন ছবি যেতে নাহি দিব-র ক্ষেত্রে। ছবি ঘিরে তড়িঘড়ি মামলা দায়ের করা হয়েছিল উত্তম কুমারের পরিবার। কিন্তু পরিচালকের মতামত ভিন্ন। এখনও পর্যন্ত ছবিটি দেখেননি পরিবারের কেউ। ফলে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁ তাঁর কাছে অস্পষ্ট।
উত্তম কুমার মানেই তাঁকে ঘিরে দর্শকদের মনে উত্তেজনা তুঙ্গে। দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও এখন রূপলী পর্দা মানেই সকলের কাছে সেই উত্তম-সুচিত্রা জুটি। তবে কেবলই অনস্ক্রিন নয়, ক্যামেরার পেছনে উত্তম কুমার কেমন ছিলেন, তা ঘিরে এখনও মানুষের মনে হাজারও প্রশ্ন। তাঁকে জানতে চাওয়া, চিনতে চাওয়ার খিদে মানুষের মনে অপরিসীম। উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন পরিচালক প্রবীর রায়। তিনি তৈরি করেছেন একটি ছবি, যেখানে তাঁর চোখে ফুঁটে উঠেছেন উত্তম কুমার। ছবির কাজ শেষ। ২২ নভেম্বরই মুক্তির তালিকায় ছিল এই ছবি।
বুধবার এই মামলা আলিপুর আদালতে উঠলে সেখানেই শুনানিতে বড় সমস্যার মুখে পড়তে হল ছবিকে। ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গিয়েছিল সব কিছুই। কিন্তু হঠাতই ঘটে রদবদল। আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না এই ছবি। এমনটাই এবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহানায়কের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক চান না পরিবার। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবার।