আত্মহত্যা করলেন প্লেব্যাক শিল্পী, সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন স্বামীর নাম

  • বাপেরবাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা গায়িকার
  • নিজের ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হলেন
  • পণের জন্য আত্মহত্যা বলে সুইসাইড নোটে দাবি
  • স্বামী ছাড়াও শ্বশুর ও শাশুড়ির নাম রয়েছে

মাত্র ২৬ বছরেই শেষ হয়ে গেল সম্ভাবনাময় জীবন। আত্মহত্যা করলেন সুস্মিতা রাজি। কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট পরিচিত নাম ছিলেন সুস্মিতা। নিয়মিত সিনেমায় প্লেব্যাকও গাইতেই। বাপের বাড়িতে ফ্যানে ওড়না ঝুলিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এই সঙ্গীত শিল্পী।

সুস্মিতার আত্মহত্যার পরেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে পণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন সঙ্গীত শিল্পীর মা। ২৬ বছরের সুস্মিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার শরত কুমারের। মৃত্যুর আগে ভাইকে হোয়াটস আপ করেন সুস্মিতা। সেখানেই মৃত্যুর জন্য স্বামী শরত ও শ্বশুর বৈদেহী ও শাশুড়ি গীতার  দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন তিনি। 

Latest Videos

আরও পড়ুন: একমাত্র মেয়ের সঙ্গে আর হল না শেষ দেখা, বিমানবন্দর থেকেই ফিরতে হয়েছিল তাপস পালকে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বেঙ্গালুরুর নগরভাবি এলাকার মালাগালয়  মায়েরবাড়িতে আসেন সুস্মিতা। মা মীনাক্ষি ও ভাই শচীনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গল্পও করেন তিনি। ঘুমোতে যাওয়ার আগে একসঙ্গে সকলে রাতের ডিনারও সারেন। এরপরেই নিজের ঘরে চলে যান সুস্মিতা। সেখান থেকে রাক একটা নাগাদ সুস্মিতা তাঁর মা ও ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন। লেখেন, স্বামী শরত ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যৌতুক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে তাই জীবন শেষ করে দিচ্ছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: ঘরে ছেলে ঢোকানো থেকে রোজভ্যালি কাণ্ডে জেল, বিতর্কের আরেক নাম তাপস পাল

ভাই শচীন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই মেসেজ দেখেন। মায়ের ফোন সেইসময় বন্ধ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে শচীন সুস্মিতার ঘরে যান। দেখেন ফ্যানে ওড়না জড়িয়ে ঝুলে রয়েছেন গায়িকা। 

 

 

সুইসাইড নোটে সুস্মিতা লিখেছেন, " মা, আমাকে ক্ষমা কোরো। শরত ওঁর মা গীতার কথা শুনে আমার ওপর অত্যাচার চালায়। আমি আমার নিজের ভুলের মাশুল গুনছি। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে আমার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং শরত। আমার এই পরিণতির জন্য তারা যেন চরম শাস্তি পায়...আমি কিছু বললে ওরা বাড়ির বাইরে যেতে দেবে না। শরত খুব বদমেজাজী, কখনই আমার কথা শোনে না। আমি স্বামীর বাড়িতে মরতে চাই না। ওরা শাস্তি না পেলে আমার আত্মা শান্তি পাবে না। আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমার শেষকৃত্য করবে ভাই শচীন।"

২০১৮ সালের পয়লা জুলাই শরতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুস্মিতার। বেঙ্গালুরুর কে এস লেআইট আবাসিক এলাকায় থাকতেন তারা। সুস্মিতা এর আগেও নিজের ভাইয়ের কাছে পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন। শচীন আরও জানান, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সুস্মিতার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শরতের। তারপরে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল দু'জনের। 

Share this article
click me!

Latest Videos

ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড (Kolkata Fire) কলকাতায়, পুড়ে ছাই গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন ৬টি দোকান
রেলের উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে ধ্বংস হকারদের রুটিরুজি! Sheoraphuli-তে হাহাকার! | Hooghly News
‘২৬ এর নির্বাচনই তৃণমূলের শেষ নির্বাচন!’ Samik-এর সাবধানবাণী Mamata-কে, দেখুন | By Election Results
প্রেমের নামে এসব কী! নিখোঁজ নাবালিকার মর্মান্তিক পরিণতি, শোকের ছায়া পরিবারে | Nadia News Today
কোন ফর্মুলায় আগামী নির্বাচনে বাজিমাত করবে BJP? ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari