সংক্ষিপ্ত
- আমেরিকায় যাচ্ছিলেন তাপস পাল
- মেয়ে সোহিনী রয়েছেন আমেরিকায়
- বিমানবন্দরে বুকে ব্যথা অনুভব করেন
- মাঝপথেই হাসপাতালে ফিরতে হয় তাপসকে
মঙ্গলবার ভোরে সকলকে অবাক করে দিয়েই প্রয়াত হলেন বাংলা সিনেমার অন্যতম তারকা অভিনেতা তাপস পাল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। শেষ সময়ে স্ত্রী নন্দিনী পাশে থাকলেও একমাত্র কন্যা সোহিনী পালের সঙ্গে আর দেখা হল না তাপস পালের।
আরও পড়ুন: ঘরে ছেলে ঢোকানো থেকে রোজভ্যালি কাণ্ডে জেল, বিতর্কের আরেক নাম তাপস পাল
সূত্রের খবর গত ২৮ জানুয়ারি মুম্বই গিয়েছিলেন অভিনেতা। সেখান থেকে পয়লা ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল তাপস পালের। সেখানেই রয়েছেন তাপসের অভিনেত্রী কন্যা সোহিনী পাল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর মেয়ের কাছে যাওয়া হয়নি তাপসের। বিমান ধরার আগেই বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। প্রথমে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। মাঝে চিকিৎসায় সামান্য সাড়াও দিয়েছিলেন, সেকারণে ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিনশন থেকে বের করা হয় তাঁকে। তবে সোমবার রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস। ভোর ৩টে ৩৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: 'দাদার কীর্তি' থেকে মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয়, তাপসের কেরিয়ার ছিল উত্থান-পতনে ঘেরা
ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তাপস পালের। কলেজে পড়াকালীন পরিচালক তরুণ মজুমদারের নজরে পড়েছিলেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে দাদার কীর্তি দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে। পরবর্তী সময়ে সাফল্যের সঙ্গে রাজনীতিও করেছেন। তবে গত কয়েকবছর নানা বিতর্কে জড়িয়ে কিছুটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। স্বাস্থ্যের কারণে অভিনয় জগতেও তাঁকে আর তেমন ভাবে দেখা যায়নি। এবার সকলকে চমকে দিয়ে অকালেই চলে গেলেন বাংলা সিনেমার 'সাহেব'।