ইন্ডিয়ান আইডলের অডিশনে কলকাতার অনুষ্কাতে মজে নেহা কক্কর, আরডি-র গানে লাগালেন চমক

রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চে বাংলার ছেলে-মেয়েরা যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী তা আসমুদ্র হিমাচল জানে। আঞ্চলিক হোক বা জাতীয় স্তরের কোনও রিয়্যালিটি শো- বাংলা থেকে বরাবরই থাকে দুর্ধর্ষ প্রতিভায় ভরা ছেলে-মেয়েরা। ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-র অডিশনে তেমনটাই বুঝিয়ে দিল কলকাতার মেয়ে অনুষ্কা।

আর ডি বর্মনের 'ম্যানে জো কাহা তুনে শুনা'-এই গানে পঞ্চমের সঙ্গে যিনি ডুয়েটে ছিলেন তিনি তহলেন আশা ভোঁসলে। হিন্দি প্লে-ব্যাক সিগিং-এ এই গান খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনেকটা পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সুরে আর ডি নিজের গলাকে রূপ দিয়েছিলেন। অনেকেই পরবর্তীকালে এই গানে আরডি-কে নকল করে গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাতে বিশাল কিছু সাফল্য আসেনি। কিন্তু, ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-এর অডিশনে কলকাতার একরত্তি মেয়ে যেভাবে অনায়সে এই গান গেয়ে দিয়েছেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ- নেহা কক্কর থেকে শুরু করে হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানিদের। 

কলকাতার মানুষের কাছে অনুষ্কা পাত্র একটি পরিচিত মুখ।  এর আগেও নানান এক্সপেরিমেন্টাল গান গেয়ে সা রে গা মা পার মঞ্চ কাঁপিয়েছিলো ক্লাস টুয়েলভে পড়া এই ছোট্ট মেয়েটি। তার সহজ সরল গায়িকীতে মুগ্ধ হয়েছিল বাংলার  দর্শক। এবার জাতীয় স্তরে নিজেকে মেলে ধরতেই তার ইন্ডিয়ান আইডল সফর।  অডিশনের প্রথম দিনই বিচারকদের অবাক করে  দিল সে।

Latest Videos

অনুষ্কার গানের সময়ই বিচারক হিমেশ রেশমিয়া মোবাইলে একটি সেলফিও  তোলেন।  সুরকার বিশাল ভরদ্বাজ জানান, রাবন ছবির একটি গানে  তিনি ও তার সহকারী শেখর এমনভাবে আর ডি-র কন্ঠ নকল করে একটি গান গাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তা সফল হয়নি। অনুষ্কা যে অনায়াসে এত কঠিন একটা গানকে একক কন্ঠে দুই শিল্পীর গলাকে মেলে ধরলেন তা তাঁদের অবাক করেছে বলেও জানান বিশাল। 

অডিশন চলাকালীন  সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনুষ্কার বাবা তখন মন দিয়ে শুনছিলেন মেয়ের গান। সঞ্চালক আদিত্যর নারায়ণের প্রশ্নে সম্বিৎ ফেরে তাঁর।  আদিত্য খানিক ঘাবড়ে গিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন অনুষ্কার বাবাকে- 'আরে এতো খোদ পঞ্চমদা! একটি মেয়ে কি করে পঞ্চমদার মতো ভারী আওয়াজ নকল  করতে পারে ? অনুষ্কার বাবা সহাস্য জবাব ছিল " হ্যাঁ, ওতো পঞ্চমদার শহরেরই মেয়ে।' 

কাঁধে ব্যাগ নিয়ে যখন অডিশন দিতে ঢুকেছিলেন অনুষ্কা।  বিচারকরা ঠাট্টার ছলেই জিজ্ঞাসা করেছিল 'কি আছে তার ব্যাগে ?' জবাবে অনুষ্কা বলে যে তার ব্যাগে সবসময় বই থাকে।  সময় সুযোগ পেলেই নাকি সে একটু বই পরে নেয়।  কারণ বই পড়তে তার খুব ভালো লাগে।  একথা শুনে বিচারক নেহা কাক্কার মজার ছলে  বলেন-'বই পড়তে কারুর আবার  ভালো লাগে নাকি ?' ছোট্ট মেয়ে অনুষ্কা হেসে বলে 'হ্যাঁ , আমার লাগে ' 

অনুষ্কার বাবাকে বিচারকরা মঞ্চে ডাকলে , তার বাবা আর  আবেগ ধরে রাখতে পারেন না। গর্বের সঙ্গে  বলেন, মেয়ের জন্যই তিনি পেরেছেন এতো গুণী মানুষের সামনে এসে দাঁড়াতে।  অডিশন শেষে হিমেশ রেস্মিয়ার থেকে সেলফিটা চাইতেও ভোলেননি অনুষ্কা।  অডিশন শেষে গোল্ডেন কার্ড নিয়ে বাইরে যখন বেরলেন মুখে তার আনন্দের হাসি। আর চোখে!....ভরা স্বপ্ন।  

 

Share this article
click me!

Latest Videos

New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
‘West Bengal-এ জঙ্গিদের সরকারের মুখোশ Mamata Banerjee’ Suvendu Adhikari-র ঝাঁঝালো তোপ মমতাকে
ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছিল? আসল কারন ফাঁস করলেন Suvendu Adhikari, শুনলে চমকে উঠবেন