সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত ইনফ্লুয়েনসাররা অনেক এগেই এসেছিলেন দাদাগিরিতে। এবার তাঁরা দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে। দর্শকদের একাংশের দাবি, দাদাগিরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার দিদি নাম্বার ওয়ানকে বিতর্কিত করে তুলতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।
জি-বাংলা চ্যানেলে সম্প্রচারিত ‘দাদাগিরি’ আর ‘দিদি নাম্বার ১’, বাঙালিদের মধ্যে এই দুটি রিয়েলিটি শোয়ের জনপ্রিয়তা আর উন্মাদনা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে অবশ্যই কিছুই বলার থাকে না। এই দুই প্রতিযোগিতামূলক খেলার অনুষ্ঠান নিয়েই বাংলার দর্শকদের মধ্যে কৌতুহল সব সময়েই থাকে তুঙ্গে। তা ছাড়া, যে কোনও একটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী আর একটি সিজনের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন অনুরাগী দর্শকরা।
তার চেয়েও বড় কথা এটাই যে, এই দুটি অনুষ্ঠানে রয়েছেন এমন দু’জন সঞ্চালক, যাঁরা নিজেদের খেলা বা অভিনয়ের জগৎ তো বটেই এমনকি টেলিভিশনেরও বিশেষ নামজাদা পরিচিত মুখ। দিদি নম্বর ১-এ রয়েছেন বাঙালির খুবই প্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দাদাগিরিতে সঞ্চালনা করে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তথা বাঙালির প্রিয় ব্যক্তিত্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
কয়েক মাস আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে দাদাগিরির ৯ নম্বর সিজন। জি-বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে গানের প্রতিযোগিতামূলক আরেকটি অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা পা’। তবে, দাদাগিরি চলাকালীন ওই শো-এর মঞ্চে একটি এপিসোডে হাজির হয়েছিলেন এমন কিছু ব্যক্তিত্ব যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত তাঁদের নিজেদের তৈরি করা রঙ্গ-রসিকতা, তথ্যমূলক, আলোচনাভিত্তিক কিংবা শুধুই বিনোদনমূলক কন্টেন্টের জন্য। অন্যান্য বিবিধ ক্ষেত্রে কেউ কেউ এঁদের কন্টেন্ট সম্পর্কে অবহিত না থাকলেও নেট দুনিয়ায় এদের অনেকেরই নিজেদের ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা অগণিত।
এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা ইউটিউবার-রাই সকলে সেই দিনকার অনুষ্ঠান মাতিয়ে রেখেছিলেন। এঁদের সকলকেই আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার ‘তারকা’ বলা যায়। এইবার তাঁদের দেখা পাওয়া গেল জি-বাংলা চ্যানেলের আরও একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দিদি নাম্বার ১-এ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া প্রতিযোগীদের তালিকায় ছিলেন গায়ক, রাঁধুনী ব্লগার অথবা ইউটিউবার সহ বিভিন্ন প্রতিভাবান মানুষরা। বরাবরই দিদি নম্বর ওয়ানের দর্শকরা অনুষ্ঠানটি নিয়ে যথেষ্ট আনন্দিত থাকলেও এই বিশেষ এপিসোডটি নিয়ে একেবারেই খুশি হননি তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভও প্রকাশ উগরে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর বক্তব্য হল, ইউটিউবারদের নিয়ে এসে আসলে জি-বাংলা চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ ভুল করছেন। নেটিজেনরা বলছেন তা অনেকটা এইরকম যে, চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ বিতর্কে ইন্ধন দিতে চাইছেন। দাদাগিরির সময়ও নাকি এমনটাই হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ, দাদাগিরি শো-টা শেষ হয়ে যাওয়ায় এইবার দিদি নাম্বার ১-এ এদের নিয়ে এসে অনুষ্ঠানটিকে বিতর্কিত করে তুলতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- দিদি নং ওয়ানের সানডে ধামাকা, বিশেষ পর্ব নিয়ে হাজির মিমি-রচনারা
আরও পড়ুন- রচনাকে সঙ্গে নিয়ে নতুন রূপে ফিরছে দিদি নম্বর ১, থাকছে নতুন চমক
আরও পড়ুন- Didi No. 1: আজ থেকে ফের দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনা, সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী