রাত ৮.৩০-৯.৩০টা প্রতিপক্ষদের চ্যালেঞ্জ সান বাংলা-র, আসছে উত্তেজনায় ঠাসা তিন নতুন ধারাবাহিক

  • তিন ধারাবাহিক নিয়ে আসছে সান বাংলা
  • তিন ধারাবাহিকের কেন্দ্রে নারী চরিত্র 
  • তিন ধারাবাহিকের নামও ঘোষণা করা হয়েছে
  • জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ধারাবাহিকের সম্প্রচারের সময়সীমা

Asianet News Bangla | Published : Nov 26, 2020 2:22 PM IST / Updated: Nov 26 2020, 08:02 PM IST

নারীকেন্দ্রীক আরও তিন ধারাবাহিক এবার আসছে বাংলা টেলি দুনিয়ায়। সান বাংলা-র বিনোদন চ্যানেলে এই তিন ধারাবাহিক দেখানো হবে ৭ ডিসেম্বর থেকে। তিনটি সিরিয়ালের মূল কাহিনি ঘোরাফেরা করবে নারীকে কেন্দ্র করে। এই তিন ধারাবাহিকের নামও এবার প্রকাশ্যে এনেছে সান বাংলা। এগুলি হল সরস্বতী-র প্রেম, হারোনা সুর এবং কন্যাদান। 

সিরিয়াল- কন্যাদান- অভিনয়ে-  অরিন্দম গাঙ্গুলি, মানসী সিনহা, প্রিয়া মালাকার

কন্যাদান-এর গল্পে চিরাচরিত সমাজ এবং নারী-র প্রতি পরিবারের কর্তব্যের কাহিনি প্রাধান্য পেয়েছে। তবে, একটু অন্য আঙ্গিকে নারীর প্রতি পরিবারের দায়িত্বকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের একটা চির পুরাতন ধারণা হল মেয়ে হল পরিবারের বোঝা। তাকে কাঁধ থেকে নামাতে পারলেই বোধহয় সব দায়িত্ব শেষ। মানে মেয়ে-কে একবার বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারলেই হল। বাবা-মা-এর এবং পরিবারের সেই মেয়ের প্রতি কর্তব্য শেষ। কিন্তু, কন্যাদান ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে বিয়ে-র পরও মেয়েকে আগলে রাখে বাবা-র স্নেহ। মা-মরা পাঁচ মেয়ে-কে মানুষ করতে করতে কীভাবে তাদের জীবনের পাঠ শেখান। কীভাবে মেয়েদের বোঝান কন্যাসন্তানের বিয়ে হয়ে গেলেও কেন বাবা-র স্নেহ কম হয় না। এই বাবা এমন একজন মানুষ যিনি মেয়ের বিয়ের পর সমাজের চিরাচরিত বুলি আওড়ান নন। বরং আপত্য স্নেহের বাহুডোরে মেয়েদের বেঁধে রাখেন। কন্যাদানের কাহিনি এমন-ই ঘাতপ্রতিঘাতে এগিয়ে গিয়েছে। অভিনয়ে রয়েছেন অরিন্দম গাঙ্গুলি। এছা়ড়াও রয়েছেন মানসী সিনহা, প্রিয়া মালাকার। প্রযোজনায় চিত্রায়ণ।  ৭ ডিসেম্বর থেকে সোম থেকে রবি রাত ৮.৩০টায় সান বাংলায় দেখা যাবে কন্যাদান। 

সিরিয়াল- হারানো সুর, অভিনয়ে- শর্মিষ্ঠা আচার্য, প্রিয় ভট্টাচার্য এবং দেবেশ চট্টোপাধ্যায়

হারোনা সুর-এর কাহিনি-তেও বেশ চমক। গান ভালোবাসে অহনা। কিন্তু চটকদারি জনপ্রিয়তা বা তথাকথিত আধুনিক গানের প্রতি তাঁর কোনও আগ্রহ নেই। অহনার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান ধ্রুপদী সঙ্গীতের দিকপাল শশাঙ্কশেখর। তিনি মনে মনে অহনাকে পুত্রবধূ করার সঙ্কল্প নেন। শশাঙ্কশেখরের ছেলে নক্ষত্র-ও সঙ্গীত জগতের এক তারকা হিসাবে পরিচিতি আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু পিতা শশাঙ্কশেখরের পদাঙ্ক সে অনুসরণ করেনি। চটুল জনপ্রিয়তা, আধুনিক সঙ্গীত-ই পছন্দ নক্ষত্রের। তাই নক্ষত্র একজন জনপ্রিয় সেলিব্রিটি। সেখানে শশাঙ্কশেখরের মতো গুণীদের কোনও স্থান নেই। ঘটনাচক্রে অহনার সঙ্গে আলাপ হয় নক্ষত্রের। অহনার সাদামাটা জীবনযাত্রা এবং শো-অফ-এ অবিশ্বাসী চরিত্র নক্ষত্রকে আকর্ষণ করে। সে অহনার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু, নক্ষত্র জানতেও পারে না যে অহনাও একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং ধ্রুপদি সঙ্গীতে তাঁর গভীর প্রতিভা রয়েছে। পিতা শশাঙ্কশেখর অহনা-র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ছেলে নক্ষত্রের কাছে যায়। কিন্তু, পিতা শশাঙ্কশেখরের দেখা পাত্রী-কে প্রত্যাখান করে নক্ষত্র। অথচ, সেই অহনাকে-ই বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসে সে। শশাঙ্কশেখর অহনা-কে দেখে যারপরনাই খুশি হন। কিন্তু, সঙ্কট তৈরি হয় অন্যখানে, কারণ নক্ষত্র-র কোনও ধারণাই নেই অহনার সঙ্গীত প্রতিভা নিয়ে। এবার কী হবে? অহনা-কি মেলতে পারবে তার সুরের ডালি? নক্ষত্র কি মেনে নেবে অহনার সঙ্গীতের প্রতিভা-কে? অহনার ভূমিকায় রয়েছে শর্মিষ্ঠা আচার্য। বেশকিছুদিন পরে ফের পর্দায় ফিরছেন শর্মিষ্ঠা। মাঝে বড় পর্দার ঝোঁকে ছোটপর্দার দুনিয়াকে বাইবাই করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। নক্ষত্রের ভূমিকায় রয়েছে প্রিয় ভট্টাচার্য। আর শশাঙ্কশেখরের ভূমিকায় দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনায় সুরিন্দর ফিল্মস। ৭ ডিসেম্বর থেকে সোম থেকে রবি রাত ৯টা সান বাংলায় দেখা যাবে হারোনা সুর।  

সিরিয়াল- সরস্বতী-র প্রেম, অভিনয়ে- পল্লবী দে, অভিষেক শর্মা

সরস্বতী-র প্রেম-এর কাহিনি আবর্তিত হয়েছে সরস্বতী নামে এক তরুণী-র জীবনের ওঠা-নামা এবং ঘাত-প্রতিঘাতকে কেন্দ্র করে। এক রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে সরস্বতী। যেখানে পশ্চিমের জানলটা খোলা থাকলেও প্রেম নামক শব্দ এবং তাতে ভেসে পড়াটা এক্কেবারেই নিষিদ্ধ। সরস্বতীও নিজে বিশ্বাস করে যে প্রেম কোনও মেকআপ নয় যে করতেই হবে। তাঁর মতে প্রেম এক চোরাবালি, যে করবে সেই 'কেস খাবে'। অথচ সেই সরস্বতী-র জীবনেই প্রেম আসে এবং সে প্রেমও করতে শুরু করে। ঘটনার সূত্রপাত সরস্বতীর জেঠতুতো দিদি যমুনাকে পাত্রপক্ষের দেখতে আসা নিয়ে। যমুনার বদলে পাত্রপক্ষ সরস্বতী-কেই পছন্দ করে বসে। কিন্তু, দিদি যমুনা-র আবার ইঞ্জিনিয়ার পাত্র পাভেল-কে পছন্দ হয়ে গিয়েছে। ধর্মসঙ্কটে পড়ে বিয়ের দিন পালিয়ে যায় সরস্বতী। পথে তাঁর সাক্ষাৎ হয় রোহিতের সঙ্গে। রোহিত আবার টু-পয়সার ফাদার-মাদার। জীবনে অর্থ রোজগার ছাড়া আর কিছুই সে ভাবতে পারে না। রোহিতকে সঙ্গে করে একটি পরিকল্পনা আঁটে সরস্বতী। দুই জনের মধ্যে বর-বউ সাজার একটা চুক্তিও হয়। রোহিতকে নকল বর সাজিয়ে নিয়ে বাড়ি ফেরে সরস্বতী। রোহিতও তাঁর নকল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নেয়। একদিন সময় আসে সরস্বতীর জীবন থেকে রোহিতের বিদায় নেওয়ার। কারণ, নকল বিয়ে-র চুক্তি শেষ হয়েছে। অতএব রোহিত-কে এবার বিদায় নিতে হবে সরস্বতীর জীবন থেকে। সরস্বতী পারে না রোহিত-কে ছেড়ে দিতে। কারণ, সরস্বতী-র জীবনে ততদিনে প্রেমের ডালি সাজিয়ে মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে রোহিত। এবার কী হবে? কোন পথে এগোবে কাহিনি? সরস্বতী কি স্বীকার করবে তাঁর প্রেম? এভাবেই এরপর এগিয়ে যাবে কাহিনি। সরস্বতীর ভূমিকায় রয়েছেন পল্লবী দে। রোহিতের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিষেক শর্মা। প্রযোজক সংস্থা জেডি প্রোডাকশন। ৭ ডিসেম্বর থেকে সোম থেকে রবি রাত ৯.৩০টায় সান বাংলায় দেখা যাবে সরস্বতী-র প্রেম। 

Share this article
click me!