পুরো দলের সাথে তিনটি পর্যায়ে সেশান করবে ঐ জ্যোতিষ সংস্থা। তবে ফেডারেশানের তরফে এমন কোনও খবর নিশ্চিত করা হয়নি।
ভারত নিজের ফুটবল টিমের সুসময় ফিরিয়ে আনতে ষোলো লক্ষ টাকার প্যাকেজে এক জ্যোতিষীকে চাকরি দিয়েছে। মাথায় হাত পড়ল তো, এমনকী শুনে হাসছেনও? হেসে নিন। কারণ ব্যাপারটা সত্যি। অন্য কোনও দেশ নয়। খোদ অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের এই কান্ডকারখানায় মাথায় হাত সবার। এআইএফএফের দাবি ভাল প্লেয়ার বা কোচ নয়, ম্যাচ জিততে দরকার একজন ভালো জ্যোতিষী।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে এশিয়ান কাপের আগে প্রেরণা যোগাতে এক পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হয়েছে। পরে, এটি প্রকাশ্যে আসে যে সংস্থাটি নিযুক্ত করা হয়েছে, সেটি একটি জ্যোতিষ সংস্থা। সহজভাবে বলতে গেলে, দলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য একজন জ্যোতিষী নিয়োগ করা হয়েছে। তাও ১৬ লক্ষ টাকার বিশাল অর্থের বিনিময়ে।
তবে ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক তনুময় বোস গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন এআইএফএফের এই অধঃপতনের জন্য ভুগবে ভারতীয় দল। তনুময় বোসের দাবি AIFF বারবার সঠিকভাবে যুব লিগ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে, অনেক মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তার ওপর এই ধরনের ঘটনা ভারতীয় ফুটবলের ভাবমূর্তিকে আরও কলঙ্কিত করবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
কি করবেন এই জ্যোতিষী
শোনা যাচ্ছে ২০২৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচের আগে ভারতীয় পুরুষদের জাতীয় দলকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করতে ও উৎসাহিত করতে কাজ করবেন এই জ্যোতিষী। ইগর স্টিমাকের তত্বাবধানে এশিয়ান কাপ যোগ্যতায় ফেভারিট হিসেবে তাদের খ্যাতি বজায় রেখেছে ভারত। নিখুঁত রেকর্ড বজায় রাখতে কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান এবং হংকংকে পরাজিত করেছে এবং ফলস্বরূপ, একটি সিরিজে এশিয়ান কাপ ২০২৩ সালের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী ইতিহাসের প্রথম দল হয়ে উঠেছে।
যুবভারতী স্টেডিয়ামে হংকংকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ঢুকে পড়েছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। আর এবার সেই পারফর্মেন্স ধরে রাখতে কোন টেকনিক্যাল উন্নতি নয়, গ্রহ নক্ষত্রের উপর ভরসা দেখিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
সূত্রের আরও খবর পুরো দলের সাথে তিনটি পর্যায়ে সেশান করবে ঐ জ্যোতিষ সংস্থা। তবে ফেডারেশানের তরফে এমন কোনও খবর নিশ্চিত করা হয়নি। এক জাতীয় ফুটবলারের কাছেও সে রকম কোন খবর নেই বলে জানা গিয়েছে। তবে এই খবর প্রকাশ হবার পরেই শুরু হয়েছে হইচই।