যুবভারতীতে বড় ম্যাচে নতুন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোস মার্টিন ও গোয়ার রোমারিও কে প্রথম দলে রেখে, সবাইকে কিছুটা চমকে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো। কিন্তু গোয়া-স্পেন কম্বিনেশন ডার্বিতে চমক দেখাতে ব্যর্থ। ঘরের মাঠে সাদার্ন ম্যাচে তাই সেই রাস্তায় হাঁটেননি গার্সিয়া। শুরু থেকে মাঠে নামিয়ে দেন ছন্দে থাকা কোলাডো ও বিদ্যাসাগরকে। তাই শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবলের রাস্তায় হাঁটার সুযোগ পায়ে লাল হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে কাদা মাঠে খেলতে বেশ পারদর্শী। তাই সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করল তারা। ৩২ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন বিদ্যাসাগর। ডিকার কর্ণার থেকে বল কোলাডের মাথার পেছনে লেগে তরুণ স্ট্রাইকারের দিকে আসতেই সেই বল জালে জড়িয়ে দেন বিদ্যা। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে, ডিকার কর্ণার থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন কোলাডো। ম্যাচের বয়েস তখন ৬১ মিনিট। ৭১ মিনিটে যদিও একটি গোল হজম করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। মেহতাবের দলের হয়ে গোল করেন ময়দানের পোড় খাওয়া ফুটবলার অর্জুন টুটু।
জোড়া গোল তুলে পরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন লাল হলুদ কোচ। কোলাডোকে তুলে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয় নতুন স্প্যানিশ ফুটবলার জুয়ান গঞ্জালেসকে। তাঁকে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। যদিও বৃষ্টি ভেজা মাঠে নিজেকে খুব বেশি মেলে ধরতে পারেননি নতুন এই ফুটবলার। এদিন শুরু থেকে আলেহান্দ্রো মাঠে নামিয়েছিলেন দলের ডিফেন্সের স্তম্ভ বোরহা গোমেজকে। আমানা, কালুদের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স ভারসা দেবে সমর্থকদের।
মেহতাবের দলকে হারিয়ে লিগে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। পরের ম্যাচে ৯ তারিখ ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ লিগ শীর্ষে থাকা পিয়ারলেস। কঠিন ম্যাচ কোলাডোদের জন্য। ফুটবলের লড়াইয়ের পাশাপাশি আলেহান্দ্রোর চিন্তা বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল মাঠের করুণ দশা। এদিনও ম্যাচের আগে বৃষ্টি হওয়ায় খেলা শুরুতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। পিয়ারলেস ম্যাচের সময়ও মাঠের এমন অবস্থা থাকলে সমস্যায় পরতে হবে কোলাডোদের।