আইএসএলে (ISL) জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC)২-০ গোলে হারাল জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando)দল। গোল করলেন লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco) ও মনবীর সিং (Manvir Singh)।
ওড়িশা এফসি (Odisha FC) বিরুদ্ধে গত ম্য়াচে ১-১ গোলে ড্র করে আিএসএলের (ISL) শীর্ষে থেকে লিগ শেষ করার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। একইসঙ্গে প্রথম চারে থাকার পথও কিছুটা কঠিন হয়েছিল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয় ছাড়া কোনও গতি ছিল না জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando)দলের। আর ওড়িষার বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করারর পর বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান। দুই ভারতীয় প্লেয়ারের লিস্টন কোলাসো (Liston Coolaco) ও মনবীর সিংয়ের (Manvir Singh)যুগলবন্দী ও গোল জয় পেল সবুজ-মেরুণ শিবির। ম্য়াচের ৪৭ মিনিটে গোল করেন লিস্টন কোলাসো ও ৮৫ মিনিটে গোল করেন মনবীর সিং। ২-০ গোলে জয়ের ফলে সেমি ফাইনালে ওঠার টিকিট অনেকটাই নিশ্চিৎ করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান।
এদিন ম্য়াচের প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনায় শুরু হয় খেলা। ম্য়াচের ৭ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। আশিক ক্রুণিয়ার ক্রস থেকে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন প্রিন্স ইবারা। তবে বেঙ্গালুরু ফরোয়ার্ডকে কোনো মোহনবাগান ফুটবলার চ্যালেঞ্জ না করলেও, তাঁর শট একদম অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি হাফ চান্স পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। তবে কাজের কাজ হয়নি। ম্য়াচের ৩১ মিনিটে কর্ণার থেকে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে তাঁর হেডার ঠিকঠাক কানেক্ট না হওয়ায় তা গোলের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। দু-একটি সুযোগ তৈরি করেছিল এটিকে মোহনাগানও। কিন্তু গোল আসেনি। ম্য়াচের ৪০ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান হুগো বুমোস। তার জায়গায় দীপক টাংরিকে নামানো হয়। ম্য়াচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আসে এটিকে মোহনবাগানের প্রতীক্ষিত গোল। ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো।
ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে ম্য়াচে ফেরার চেষ্টা করে বেঙ্গালুরু এফসি। অপরদিকে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে এটিকে মোহনবাগানও। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। মিডফিল্ডে জনি কাউকো মোহনবাগানের হয়ে বল জিতে নিয়ে লিস্টনের উদ্দেশ্যে দুরন্ত থ্রু পাস বাড়ান। লিস্টনের শট লারাকে পরাস্ত করলেও তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। মনবীর এবং লিস্টনের দক্ষতা এবং গতি বারবার সমস্যায় ফেলে বেঙ্গালুরু এফসিকে। গোল করার মত সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরুও কিন্তু সবুজ-মেরুণের জমাটি রক্ষণ ভাঙতে পারেননি। ম্য়াচের ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় বাগান। রোহিত কুমারর খারাপ পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান মনবীর। তাঁর জোরালো শট লারার হাতে লাগলেও, তা গোলে ঢোকা থেকে রুখতে পারেননি বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্য়াচ জেতে এটিকে মোহনবাগান। আর বেঙ্গালুরু এফসির মরসুম শেষ হয়ে গেল। তাদের প্রথম তারে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ থারল না। বর্তমানে ১৮ ম্য়াচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবুলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান।