আবারও অশান্তি কলকাতা ময়দানে। এবার মহমেডান মাঠ। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ভাবানীপুরের কাছে তখন ০-৩ গোলে পিছিয়ে মহমোডান। মহমেডানের একটি শট গোল লাইন সেভ করেন ভাবানীপুর গোলকিপার। কিন্তু সাদা কালো ফুটবলারদের দাবি ছিল বল গোল লাইন অতিক্রম করেছে। কিন্তু রেফারি লাইনসম্যানের সঙ্গে কথা বলে গোল দেননি। এতেই মাঠে উপস্থিত মহমেডান সমর্থকদের রাগ গিয়ে পরে লাইন্সম্যানের ওপর। শুরু হয় বোতল বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ২০ মিনিট। সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠের পরিস্থির কথা মাথায় রেখে পুলিশও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খেলা শুরু করতে প্রায় ২০ মিনিট গড়িয়ে যায়। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় মাঠ ছাড়তে হয় রেফারিদের। বৃষ্টির জন্য এদিনও মহমেডান মাঠের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। প্রথমার্ধেই সাদা কালোর প্রাক্তনী ডোডজ জোড়া গোল করে পিছিয়ে দেন সৈয়দ রমনের দলকে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ভাবানীপুরের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন কামো। মহমেডানকে হারিয়ে কলকাতা লিগের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সাদা কালো শিবির। পিয়ারলেসের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে শঙ্করলালের দল।
লিগে বৃহস্পতিবার মাঠে নামছে মোহনবাগান। কল্যাণীর মাঠে কিভু ভিকুনার দলের সামনে রাজদীপ নন্দীর এরিয়ান। ময়দানে এরিয়ান বরাবরই জায়েন্ট কিলার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার তাদের অবস্থা ভাল নয়। এবারে লিগে রাজদীপের দল ৬ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট পেয়েছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও যে তারা তেমন কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এমনটা কেউই আশা করছেন না। তবে মোহনবাগান কোচ কিছুটা হলেও চিন্তায়। আগের ম্যাচেই ৪ গোল দেওয়া বাগান ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসতে পারে, সেটাই চিন্তা কিভুর। বারবার তিনি সতর্ক করেছেন দলকে। এরিয়ানকে হারাতে পারলে যেমন আবার লিগের শীর্ষে উঠে আসবে বাগান তেমনই কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাটাও টিকে থাকবে। এরিয়ানের খেলাও দেখেছেন কিভু।
এদিকে বুধবার বিকেলেশহরে চলে এলেন মোহনবাগানের ষষ্ঠ বিদেশি জুলেন কলিনাস ওলাইজোলা। স্পেন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পা রাখলেন সবুজ মেরুনের নতুন এই ফুটবলার। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে দলের খেলা দেখতে যেতে পারেন তিনি। শুক্রবার থেকে শুরু করবেন অনুশীলন।