খাদের ধারে দাঁড়িয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ থেকেই ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। রবিবার কোপা আমেরিকায় গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে পরাজিত করে তলানি থেকে গ্রুপ বি-এর দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল আর্জন্টিনা। ফলে আগামী শুক্রবার রিও-এর মারকানা স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ এসে গেল মেসিদের হাতে। তাই ২৪ জুন নিজের ৩২তম জন্মদিনে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত ফুটবল-রাজকুমার।
রবিবার যে নিখুঁত খেলেছে আর্জেন্টিনা তা নয়। তবে সীমিত ক্ষমতার কাতারকে হারাতে বেগ পেতে হয়নি। ম্য়াচের ৪ মিনিটের মাথাতেই এশিয় চ্যাম্পিয়নদের বাসাম হিচাম একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সরাসরি নিজেদের বক্সে মার্টিনেজের পায়ে তুলে দিয়েছিলেন। গোল করতে ভুল করেননি মার্টিনেজ।
প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র-এর পর বাদ পড়েছিলেন আগুয়েরো। এই ম্যাচে দলে ফিরে এসে মেসি ও মার্টিনেজের পাশে তিনি খুব একটা খারাপ খেলেননি। নিজের জন্য বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে নিয়েছিলেন। কিন্তু গোল পাতচছিলেন না। অবশেষে কাতারের রক্ষণভাগের দুই ফুটবলারকে টপকে এক অসাধারণ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
ম্যাচের পর মেসি জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষ সহজ হলেও জিততেই হবে এমন পরিস্থিতি এই ধরণের ম্যাচগুলিকে কঠিন করে দেয়। মেসি মেনে নিয়েছেন কাতার ম্যাচেও আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন। কিন্তু তারপরেও আর্জেন্টিনা সেই ম্যাচ জিতে যে এখনও টুর্নামেন্টে টিকে রয়েছে, তাতেই খুশি বলে জানিয়েছেন মেসি।
তিনি আরও বলেন এই জয় তাদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। বীভিষিকাময় গ্রুপ পর্বের শেষে নকআউট পর্বে পৌঁছনোর পর, এইবার আর্জেন্টিনা নতুন করে কাপ অভিযান শুরু করবে বলে দাবি করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'ওর জয়ী ফুটবল তারকা।
ফলে সোমবার জন্মদিনটা অন্তত একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন মেসি। কাতারকে সহজেই পরাজিত করলেও কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ মোটেই সহজ নয়। ভেনেজুয়েলা খেলে, রক্ষণত্মক ভঙ্গীতে এবং প্রতিআক্রমণ নির্ভর। ফলে তাদের বিরুদ্ধে গোল পাওয়া খুব কঠিন। পেরুকে ৫ গোল দেওয়া ব্রাজিলও ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল। তার মধ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসেই মাদ্রিদে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মেসির আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল এই লাতিন আমেরিকান দেশ।