ভিএআর দীর্ঘজীবী হোক! গোলশূন্য ড্র-এর পরেই স্টেডিয়াম জুড়ে রব

  • কোপা আমেরিকা ২০১৯-এর দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল ব্রাজিল
  • ভিএআর প্রযুক্তির কোপে তিনটি গোল বাতিল হল
  • কুটিনহোদের পারফরম্যান্সও হল খুব গড়পড়তা
  • ম্যাচের পর করা হল বিদ্রুপ

 

amartya lahiri | Published : Jun 19, 2019 2:38 PM IST

কোপা আমেরিকা ২০১৯-এর দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল ব্রাজিল। শুধু গড়পড়তা পারফরম্যান্সই নয়, ভিএআর-দুর্ভাগ্যের শিকারও হলেন কুটিনহোরা। তিনতিনটি গোল বাতিল হল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির হাতে।

শুরু হয়েছিল ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে। ফিরমিনহোর শট জড়িয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলার গোলে। কিন্তু গোলের আগেই ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগের এক ফুটবলারকে ফাউল করেছিলেন তিনি। ভিএআর-এ খেলার রিপ্লে দেখতে গিয়ে তা রেফারির চোখে ধরা পড়ে যায়। ফলে গোলটি বাতিল করা হয়।

কিন্তু তখনও কেউই ভাবতে পারেননি এই ঘটনা ম্যাচে আরও দুইবার ঘটবে। দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্লিসকে তুলে ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে তাঁর বদলে মাঠে নামান হেসুসকে। আর ৫৭ মিনিটেই তিনি গোল করেন। কিন্তু ভাগ্য এইবারও সঙ্গে ছিল না ব্রাজিলের। বক্সের বাইরে থেকে হেসুসের নেওয়া শটটি ভেনেজুয়েলার এক খেলোয়াড়ের শরীরে লেগে এসেছিল ফিরমিনহোর কাছে। রবার্টো ফিরমিনহো বলটি ফের হেসুসকে দেন। সেখান থেকে গোল করেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তারকা ফরোয়ার্ড।

ভিএআরে দেখা যায় হেসুসকে বল দেওয়ার সময়ে অফসাইডে ছিলেন ফিরমিনহো। কাজেই ফের বাতিল হয় গোল। তবে এখানেই ব্রাজিলের গোল বাতিলের পর্ব শেষ হয়নি। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে বদলি হিসেবে নামা এভারটনের পাস থেকে আরও একবার বল ভেনেজুয়েলার জালে জড়ান কুটিনহো। এই বারও রিপ্লেতে দেখা যায় এবারটন অফসাইডে ছিলেন। ফলে আহরও একবার গোল বাতিল হয় ব্রাজিলের।

আর এরপরই ভেনেজুয়েলার কোচ থেকে সমর্থক সবাই বলছেন ভিএআর দীর্ঘজীবী হোক। তবে ভিএরআর-কে দোষ দিয়ে শান্ত করা যায়নি সাম্বা ফুটবলের ভক্তদের। তাঁরা কোনও দুর্ভাগ্যের কথা শুনতে রাজি নন। আঙুল তুলছেন, দলের কারাপ পারফরম্যান্সের দিকেই। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের মধ্যেই দলের খেলা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

ব্রাজিল কোচ তিতেও জানিয়েছেন ভিএআর নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ভিএআরের প্রতিটি সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। প্রযুক্তি সঠিকভাবেই কাজ করেছে। প্রত্যেকটি গোল বাতিলই যুক্তিযুক্ত বলেও জানান তিনি।

 

Share this article
click me!