সোমবারের ম্যাচে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধেল হার। তারপর আশান্ত হয়ে ওঠা লাল হলুদ তাঁবুর ছবিটা এখনও টাকটা। তার ওপর বুধবার রাতেই রেফারি নিগ্রোহ করে শাস্তি পেতে হয়েছে দলের দুই ফুটবলার এবং দলের ম্যানেজার ও গোলকিপার কোচকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন ঘরের মাঠে নামল ইস্টবেঙ্গল তখন গ্যালারী কার্যত ফাঁকা। সোমবারের ম্যাচে পুলিশের বিরুদ্ধে অযোথা লাঠিচার্চের অভিযোগ করেছিলেন লাল হলুদ সমর্থকরা। হয়তো তারই ফল বেশকিছুটা কম দর্শকের উপস্থিতি। খেলার শুরু থেকে একটু যেন চাপেই ছিলেন কোলাডোরা। এদিন শুরু থেকে মাঠে নেমেছিলেন স্প্যানিশ মিডিও জুয়ান মেরা। তিনিই যেন চাপ সরিয়ে আত্মবিশ্বাস জোগালেন সামাদদের মধ্যে।
কোলাডো শুরুর দিকেই একটা গোল মিস করলেন, ফাঁকা গোলে, হেডে বল ঠেলতে পারলেন না তিনি। ৩৭ মিনিটে কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই প্রথম গোল করে কালীঘাট। বড় দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত গোল করেন তুহিন শিকদার। কিন্তু ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকা ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য ম্যাচে সমতা ফেরাতে বেশি দেরি হয়নি। ৪১ মিনিটে বিদ্যাসাগার ১-১ করলেন তরুণ এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে যেন খেলা বদলে গেল লাল হলুদের। কাদা মাঠে ছুরি চালিয়ে গেল স্প্যানিশি মিডিও জুয়ানের বাঁ পা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন দলের ষষ্ঠ বিদেশি। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে খেলায় এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। পিন্টু মাহাতোর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিলেন কালীঘাট ডিফেন্ডাররা। ৬৪ মিনিটে গোল করলেন কোলাডো। দু’মিনিটের মধ্যেই আবার ধাক্কা খেল কালীঘাটের ক্লাব। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল অ্যালেকজেন্ডারকে। ৮৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চতুর্থ গোলটিও এল কোলাডোর পা থেকেই। ম্যাচ সেরাও হলেন তিনি। কিন্তু ৭০ মিনিট মাঠে থেকে লাল হলুদ জনতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জুয়ান মেরা।
ঘরের মাঠে কালীঘাট এমএসকে হারিয়ে আবার লিগের লড়াইতে কিছুটা অক্সিজেন পেল আলেহান্দ্রোর দল। কারণ একই সময়ে চলা কল্যাণীতে মোহনবাগানকে হারতে হেয়েছে। বৃহস্পতিবারের জয়ের ফলে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্টে পৌছাল ইস্টবেঙ্গল। এক নম্বরে থাকা পিয়ারলেসের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোলপার্থক্যে তৃতীয় স্থানে লাল হলুদ ব্রিগেড। গার্সিয়ার দলের পরবর্তী ম্যাচ সোমবার ভবানীপুরের বিরুদ্ধে কল্যাণীর মাঠে।