এবার ঘরের মাঠে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের কাছে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। যার জেরে প্রকট হয়ে এল লিগে টিকে থাকার আশা। যা কোনওভাবেই আশা করেনি লাল হলুদ সমর্থকরা।
পরিসংখ্য়ান বলছে, আই লিগের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। সব জেনেও পরিস্থিতি কাজে লাগাতে পারল না লাল হলুদ শিবির। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েও বল জালে ঢোকাতে ব্যর্থ হল মার্কোসরা। বিপক্ষের তরুণ প্রজন্মের কাছে কিছুটা হলে মাঝে ফিকে দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও ম্যাচের ঠিক ৫৯ মিনিটের মাথায় অ্যারোজের হয়ে গোল করেন বিক্রম প্রতাপ।
হাতে এত সময় থাকতেও আর ফিরতে পারেনি মার্কোসরা। শেষে আগ্রাসী ফুটবল খেলতে কম্বিনেশনে নামানো হয় ক্রোমাকে। কিন্তু যার ওপর এত ভরসা, দেখা যায় গোলের সহজ সুযোগ পয়েও তিন কাঠিতে ঢোকাতে ব্য়র্থ হন তিনি। পাল্টা গোল দিতে না পারায় হার স্বীকার করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ময়দানের পরিসংখ্য়ান বলছে, এমনিতে সেরকম ব্রেক থ্ুর নেই অ্যারোজের। কিন্তু মাঝমাঠ থেকে স্ট্রাইকার সবেতেই তরুণ তুর্কিদের ওপর ভরসা রেখেছে দল। যার প্রমাণ খোদ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জয়।
এদিন অবশ্য় প্রথম থেকেই সেভাবে গোছানো ফুটবল খেলিনি দল। কাজে লাগে অ্যারোজ কোচ ভেঙ্কটেশের অ্যাটাকিং ফুটবল। খেলার শেষে তিনি জানান,ইস্টবেঙ্গলের মতো হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে ছেলেদের পারফরম্যান্স তাঁকে সন্তুষ্ট করেছে। এই নিয়ে চলতি লিগে দুটি ম্যাচ জিতল অ্যারোজ। উলটোদিকে ঘরের মাঠে মুখ থুবড়ে পড়ায় ৯ ম্যাচে এখন ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে ১১ পয়েন্ট।