একে নতুন লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি পত্র সই করা নিয়ে সমস্যা। অপরদিকে পুরোনো লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েসের সঙ্গে পুরোনো প্লেয়ারদের ও ফিজিক্যাল ট্রেনারের বকেয়া বেতন মেটানো নিয়ে সমস্যা। সমস্যা জর্জর্তি ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের সঙ্গে এবার যেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটাই হল। ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোয় নতুন মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। যার ফলে সমস্যা আরও বাড়ল লাল-হলুদ কর্তাদের।
ফুটবলের ভাষায় ইস্টবেঙ্গলের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিফা তাকে ট্রান্সফার ব্যান বলা হয়ে থাকে। ফিফার তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বকেয়া বেতন সংক্রান্ত সমস্যার জন্য নতুন মরশুমে জাতীয় পর্যায়ের কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। এর আগের লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তারা জানিয়ে দিয়েছিল, ফুটবলারদের বেতন মেটানোর কোনও দায়িত্ব নেবে না। এরপরই ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার, ফুটবলার খাইমে সান্তোস কোলাদো সহ অনেকেই এআইএফএফ ও ফিফার দ্বারস্থ হন। অপরদিকে, নতুন লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টও ২০২০-র সেপ্টেম্বরের আগে কোনও বকেয়ার দারভার নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যেটা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে। একই শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্সকে।
বর্তমানে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। স্পোর্টিং রাইটস না ফেরানোর কথাও বলেছে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শেষমেশ যদি চুক্তি সাক্ষরিত হয়ও তাহলে দল গঠনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে শাস্তি কোয়েস ইস্টবেঙ্গল পাক আর শাস্তি এসসি ইস্টবেঙ্গল পাক ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্যায় কিন্তু ভুগতে হবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। ফলে কোন পথে হবে সমস্যার সমাধান তা নিয়ে চাপে ক্লাব কর্তারা। ক্লাবের ভূমিকায় হতাশ সমর্থকরাও।