তেকাঠির নীচে কলকাতার তিন প্রধান ইস্ট-মোহন-মহামেডানের। বহু লড়াইয়ের সাক্ষী। জিতেছেন অনেক যুদ্ধ। কিন্তু মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইটা শেষ করলেন জাতীয় দল ও কলকাতা ময়দানের প্রাক্তন গোলকিপার প্রশান্ত ডোরা। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রোগভোগে ভোগার মঙ্গলবার দুপুরে রাজারহাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন প্রশান্ত ডোরা। ময়দান কাপানো এই গোল কিপারের প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া ফুটবল মহলে।
অতি বিরল হেমোফাগোসিটিসি লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রশান্ত ডোরা। গত একমাস ধরে জ্বরেও ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন রাজারহাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই রোগে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রায় প্রতিদিন রক্ত পাল্টাত হত। এই কারণেই কয়েক দিন আগে প্রশান্ত ডোরার দাদা প্রাক্তন ফুটবল হেমন্ত ডোরা O+ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন। প্লেটলেট দ্রুত নেমে যাচ্ছে। শেষ কয়েক দিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল প্রশান্ত ডোরার। শেষ পর্যন্ত আর শারীরিক ধকলটা নিতে পারলেন না প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার।
মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই জীবন যুদ্ধ শেষ করলেন প্রশান্ত ডোরা। শুধু তিন প্রধান নয়, তার আগে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্টেও খেলেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান প্রশান্ত । প্রি-অলিম্পিক কোয়ালিফায়িংয়ে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলার পাশাপাশি সাফ কাপ, সাফ গেমসেও ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংও করিয়েছেন। কিন্তু প্রশান্ত ডোরার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফুটবল মহল।