আইএসএল সেমি ফাইনালে (ISL Semi Final)হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) কাছে হার এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। খেলার ফল ৩-১।
আইএসএলের (ISL) ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে জোর ধাক্কা খেল এটিকে মোহনাবাগান (ATK Mohun Bagan) । সেমি ফাইনালে প্রথম পর্বের খেলায় হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) কাছে ৩-১ গোলে হারতে হলে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা (Roy Krishna)। যদিএ প্রমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ লগ্নে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বার্থলোমেউ ওগবেচে (Bartholomew Ogbeche)। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করে হায়দরাবাদ। ৫৮ মিনিটে গোল করেন মহম্মদ ইয়াসির (Mohammad Yasir)ও ৬৪ মিনিটে মানোলো মারকুয়েজের দলের হয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন হাভি সিভেরিয়ো (Javier Siverio)। এই ম্য়াচ হারের ফলে ফাইনালের ওঠার লড়াই অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের।
ম্যাচের প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৩বার গোল করার মত সুযোগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিল বাগানের অ্যাটাকিং লাইন। ম্যাচের ১৮ মিনিটে বাঁ-দিকের উইংয়ে লিস্টন কোলাসো দুর্ধর্ষ আক্রমণ করে। তার স্কিলে একেবারে হতভম্ব হয়ে যান হায়দরাবাদের সাইড ব্যাক নিম দর্জে। কোলাসোর বাড়ানো বল থেকেই একেবারেই স্ট্রাইকারদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। ১-০ এগিয়ে গোলে এগিয়ে দেয় এটিকে মোহনবাগানকে। এক গোল হজম করার পর সমতা ফেরানোর জন্য ঝাপায় হায়দরাবাদ এফসিও। ধীরে ধীরে মাঝমাঠকে সঙ্ঘবদ্ধ করে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে মানোলো মারকুয়েজের দল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহর্তে ফের একবার হায়দরাবাদের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ওগবেচে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়াসিরের কর্ণার মোহনবাগা রক্ষণে বিশাল সমস্যা তৈরি করে। বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন প্রীতম কোটালরা, এমনকী হ্যান্ডবলেরও দাবি উঠে। তবে শেষে হুয়ানানের ক্রস থেকে হেডার থেকে গোল করে হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফেরান ওগবেচে। এটি এই মরশুমে তাঁর ১৮তম গোল। এই গোলের পর ১-১ সমতাতে বিরতিতে যায় এটিকে মোহনবাগান ও হায়দরাাদ এফসি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে যে খেলার রং পুরোপুরি পাল্টে যাবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তোলে হায়দরাবাদ। ম্যাচে ৫৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফের একবার ওগবেচের শক্তিশালী রানেই মোহনবাগানের রক্ষণ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ওগবেচের পাস থেকে সিভেরিয়োকে আটকাতে সন্দেশ ও তিরি দুই মোহনবাগান ফুটবলারই ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিন ফুটবলারই চ্যালেঞ্জের পর মাঠের মধ্যে পড়ে থাকলেও বল চলে যায় ইয়াসিরের কাছে। বাঁ-পায়ের সুন্দর বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ইয়াসির। ২-১ এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। দ্বিতীয় গোলের পর ৬ মিনিট যেতে না যেতেই তৃতীয় গোল পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ওগবেচের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে অনিকেতের পায়ে জমা দেন সন্দেশ। অনিকেত শট নিতে বিলম্ব করায় তাঁকে প্রথমে রুখে দেওয়া সম্ভব হলেও ইয়াসিরের কর্ণার থেকে হাভি সিভেরিয়ো হেডারে গোল করে হায়দরাবাদের লিড দ্বিগুন করেন। এরপর একাধিক চেষ্টা করলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।