
যুবভারতী স্টেডিয়ামে দুরন্ত ভারতীয় ফুটবল দল। কাম্বোডিয়াকে হারানোর পর টানা দ্বিতীয় জয় পেল সুনীল ছেত্রীরা। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্সে আফগানিস্তানকে ২-১ গোলে হারাল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ৫ মিনিটে ৩টি গোলের নাটকীয় ম্য়াচ উপহার পেল বাংলার ফুটবল প্রেমিরা। ইনজুরি টাইমে করা গোলে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিৎ করে মেন ইন ব্লুরা। ম্য়াচে ভারতের হয়ে এদিন দুটি গোল করেম সুনীল ছেত্রী ও সাহাল সামাদ। আফগানিস্তানের হয়ে একটি গোল করেন জুবার আমেরি। এই জয়ের ফলে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপ ডি-তে দ্বিতীয় ২ম্য়াচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকল ভারতীয় দল। পরের ম্য়াচ গোল পার্থক্যে গ্রুপ শীর্ষে থাকা হংকংয়ের বিরুদ্ধে। জয়ের হ্য়াটট্রিক করে পরের রাউন্ডে যাওয়াই এখন লক্ষ্য ইগর স্টিমাচের দলের।
এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই হাড্ডহাড্ডি ফুটবল খেলে দুই দল। ম্য়াচে প্রতীদ্বন্দ্বীতা থাকলেও প্রথম দিকে দুই দলই একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর মাঝমাঠের দখল নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত ও আফগানিস্তান। প্রথমার্ধে প্রথম ৩০ মিনিটে খুব একটা অ্যাটাকিং ফুটবল খেলেনি ইগর স্টিমাচের দল। প্রথমার্ধে একটু বেশিই আক্রমণ করে আফগানরা। তবে ধীরে ধীরে খেলায় লিস্টন কোলাসো, সুনীল ছেত্রীরা। ম্য়াচের প্রথমার্ধের শেষের দিকে দুই দলই বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি ভারত ও আফগানিস্তান দুই দল। ম্য়াচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট শেষে গোল শূন্য ব্যবধানে শেষ হয় খেলা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খোলার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি বাড়ায় ভারতীয় দল। মাঝমাঠকে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ মনে হয় টিম ইন্ডিয়ার। ম্য়াচে দর্শকদের গোল দেখার সাধ পূরণ হয় ৮৬ মিনিটে। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী গোল কসেদলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সেই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ভারতীয় দল। ম্য়াচের ৮৮ মিনিটে জুবার আমেরি গোল করে আফগানিস্তানের পক্ষে ম্য়াচে সমতা ফেরান। এরপর যখন সকলেই ধরে নিয়েছিল ম্যাচে ১-১ সমতায় শেষ হতে চলেছে। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটও পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফুটবল দেবতার ইচ্ছে ছিল অন্যরকম। আর অন্যরকম ইচ্ছে ছিল সাহাল সামাদের। ম্যাচের ৯১ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন সামাদ। উৎসবে মেতে ওঠেন ভারতীয় ফুটবলার ও গোটা যুবভারতী।