রবিবার আইএসএল ২০২১-২২ (ISL 2021-22) মরসুমের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East bengal)। প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি Jamshedpur FC)। জয় দিয়ে মরসুম শুরু করতে মরিয়া লাল-হলুদ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ (Manuel Diaz)।
গতবার আইএসএলের (ISL) আবির্ভাব মরসুমে এসসি ইস্টবেঙ্গল শেষ করেছিল নবম স্থানে। এবার আইএলে খেলা নিয়েও তৈরি হয়েছিল সংশয়। একেবারে খাদের কিনারা থেকে শেষ মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে আইএসএল ২০২১-২২ (ISL 2021-22) খেলার জট কেটেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দল গঠনে নামে কর্তৃপক্ষ। দেশীর প্লেয়ার সই করানোর ক্ষেত্রেও শেষে হলেও একাধিক চমক দিয়েছিল লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ। সবথেকে বড় চমক ছিল কোচ রবি ফাওলারকে সরিয়ে ‘মানোলো’ দিয়াজকে (Manuel Diaz)নিয়ে আসা। পরে হলেও দেশি-বিদেশী প্লেয়ারদের সই করানোর ক্ষেত্রেও পরে ময়দানে নেমেও যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বিদেশা প্লেয়ারদের মধ্যে সই করে ড্যানিয়েল চিমা (Daniel Chima), অ্যান্টোনিও পেরোসেভিচ, টমিস্লাভ মার্সেলা, আমির দেরভিসিভিকদের মত তারাকারা।
অবশেষে নতুন কোচের অধীনে দীর্ঘ অনুশীলন শিবিরে পর রবিবার জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আইএসএল ২০২১-২২ মরসুমের অভিযান শুরু করতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নতুন মরসুমে নতুন দল নিয়ে ভালোফলের বিষয়ে আশাবাদী লাল-হলুদ কোচ। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে দিয়াজ বলেন,'প্রাক-মরসুমে ৩৫টি সেশন করেছি আমরা। প্রত্যেক ফুটবলারের দক্ষতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে আমি জানি। বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমরা খেলতে পারি। ম্যাচ জিততেও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারি। গত বছর সমর্থকদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমরা। এ বার নতুন দল হয়েছে। কোচেরাও নতুন। গত বারের থেকে ভাল ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। জামশেদপুর গত বারের বেশিরভাগ ফুটবলারই ধরে রেখেছে। কোচও একই। এখন দেখার গত বারের কৌশলেই ওরা খেলে কিনা।' ড্যানিয়েল চিমাকে নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ কোচ। তিনি বলেন,'চিমার সম্পর্কে বলতে পারি, ও খুব ভাল ফুটবলার। নিজে গোল করতে এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে ভালবাসে। ওকে খেলতে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। তবে গোটা দল ভাল না খেললে চিমা একা কিছু করতে পারবে না।' তবে এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবতে নারাজ দিয়াজ। প্রথম ম্য়াচটা জেতাই তার প্রাথমিক লক্ষ্য। তবে তার দল যে ডার্বি খেলার জন্য প্রস্তুত তাও সাফ জানিয়েছেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। নতুন মরসুমে প্রিয় দলের কাছে জয় খার অপেক্ষায় কোটি কোটি লাল হলুদ সমর্থকরা।
অপরদিকে, মরসুমের প্রথম ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া জামশেদপুর এফসিও। গতবারের তারা শেষ করেছিল ষষ্ঠস্থানে। মাত্র ৪ পয়েন্টের জন্য তারা প্লে অফে উঠতে পারেনি। তবে এবার নতুন মরসুমে নতুনভাবে শুরু করতে মরিয়া জামশেদপুর। ২০১৭ সালে আবির্ভাব ঘটার পর এখনও তারা প্লে অফে একবারও জায়গা পাকা করতে পারেনি। তবে এবার তারা প্লে অফে যাওয়ার জন্য বদ্ধপিরকর। ইস্টবেঙ্গল দলকে সমীহ করলেও নিজেদের শক্তির উপর ভরসা করেই দিয়াজের দলকে মাত দিতে চাইছে ওয়েন কোয়েলের দল। জামশেদপুর এফসির অ্যাটাংয়ে মারে এবং ভালস্কিস এবং রক্ষণে হার্টলি এবং সাবিয়ার সাথে বিদেশী খেলোয়াড়দের একটি ভাল মিশ্রণ রয়েছে। দলটি রেঞ্জার্স মিডফিল্ডার গ্রেগ স্টুয়ার্টকে নিয়ে এসেছে, যিনি সৃজনশীল ফুটবল খেলে মাঝমাঠে আক্রমণ তৈরি করবেন। এছাড়া স্বদেশী প্লেয়ারদের উপরও আস্থা রয়েছে দলের। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।