দুই রবের্তোর লড়াই। অবশেষে রবের্তো মানচিনির হাতে থামল রবের্তো মার্টিনেজের বিজয় রথ। অপরদিকে মানচিনির হাত ধরে ইতালি যেন ক্রমেই অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ইউরোর দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল ইতালি। রবের্তো মানচিনির স্ট্র্যাটেজির কাছেই হার মানল ফিফা ক্রম তালিকা শীর্ষে থাকা রবের্তো মার্টিনেজের দল। শেষ চারে স্পেনের মুখোমুখি ইতালি।
এদিন ম্যাচের শুরুতে বেলজিয়ামকে কিছুটা দেখে নেয় ইতালি। বুঝতে বাকি থাকেনি যে এই দলটা গোল তৈরি ও করার দন্য পুরোপুরি কেভিন দি ব্রাউনি ও রোমেলু লুকাকুর উপর নির্ভরশীল। তারপরই এই দুই প্লেয়ারতে বোতলবন্দি করে ফেলে ইতালি। তারপরই নিজেদের খেলায় ফেরে ইতালি। ম্য়াচের ১৩ মিনিটেই বোনুচ্চি গোল করে এগিয়ে দেয় ইতালিকে। কিন্তু ভিডিও প্রযুক্তিতে দেখে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেই গোল। যদিও গোলের মুখ খুলতে বেশি প্রতিক্ষা করতে হয়নি ইতালিকে। ম্য়াচের ৩১ মিনিটেই অসাধারণ গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেয় বারেল্লা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল করে ইতালির ব্যবধান ২-০ করে ইনসিগনে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে জেরেমি ডোকুকে ফাউল করে লোরেনজ়ো। পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-১ করে লুকাকু।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেলজিয়াম। আক্রমণের মাত্রাও বাড়ায় মার্টিনেজের ছেলেরা। লুকাকু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ম্য়াচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু মানচিনির স্ট্র্যাটেজির ফাঁদে পড়ে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেন কেভিন দি ব্রাউনি, হুইটসেল, হ্যাজার্ডরা। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ইতালিও। কিন্তু তা কাজে আসেনি। অবশেষ ২-১ ব্যবধানে ম্য়াচ জিতে সেমি ফাইনালে পৌছে গেল রবের্তো মানচিনির দল। অপরদিকে, ফিফা ক্রম তালিকায় এক নম্বর হয়েও আরও একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল বেলজিয়ামকে।