একটা দল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী। অপর দল ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এখনও পর্যন্ত ইউরো ২০২০-র সবথেকে বড় মেগা ফাইটে মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি ও ফ্রান্স। গ্রুপ অফ ডেথের এই ম্য়াচ ঘিরে বিশ্ব জুড়ে ফুটবল প্রেমিদের মধ্যেও উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ না করে দুটি দলই গতিশীল চোখধাঁধানো ফুটবল উপহার দিল। কিন্তু দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে মিউনিখে শেষ হাসি হাসল দিদিয়ের দেশঁর ফ্রান্স। সৌজন্যে জার্মানির ম্য়াট হুমেলসের আত্মঘাতী গোল।
আরও পড়ুনঃকে রইল দলে, আর কে পড়ল বাদ, ফাইনালের আগে দল ঘোষণা ভারত-নিউজিল্যান্ডের
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের স্বভাবজাত ভঙ্গিতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে জার্মানি। একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিলেন ক্রস, মুলার, হ্যাভার্টজ, গ্যানাব্রিরা। অপরদিকে চকিতে কাউন্টার অ্যাটা বেস ফুটবল খেলথিল দিদিয়ের দেশঁর দল। ৪-৩-৩ ঠকে দল নামালেও, নেমে ডায়মন্ড ছকে খেলতে শুরু করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যান, এমবাপে এবং বেঞ্জেমার গতির সঙ্গে কন্তের শিল্ডিং এবং পোগবার অনবদ্য পাসিংয়ের সুবাদে আক্রমণ গড়ে তপলছিল ফ্রান্স। ম্যাচের ২০ মিনিটে ফ্রান্সের এক কাউন্টার অ্যাটাকের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন জার্মানির ম্যাট হুমেলস। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
আরও পড়ুনঃ'কিং' কোহলি না 'কুল' উইলিয়ামসন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে এগিয়ে কোন মহাতারকা
আরও পড়ুনঃইনিই বিশ্বের হট অ্যান্ড সেক্সি ফুটবল এজেন্ট, বিকিনি ফটো শুট দেখলে ঘাম ঝড়বে আপনারও
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য ঝাপায় জার্মানিও। প্রথমার্ধের থেকে অনেক বেশি সংগঠিত দেখাচ্ছিল জোয়াকিম লোয়ের ছেলেদের। কিন্তু পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন এমব্যাপে, গ্রিজম্যান, পোগবারা। একইসঙ্গে জার্মানের আক্রিমণ নিখুঁতভাবে প্রতিহত করে ভারানে, পাভার্ড, হার্নান্ডেজরা। যার ফলে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশঁ-র দল। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, দিদিয়ের দেশঁ-র ফুটবল বুদ্ধির কাছেই হার মানতে হয় জজোকামি লো-কে। প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে খুশি ২০১৮-র বিশ্বজয়ীরা। অপরদিকে, প্রতিযোগিতায় ঘুড়ে দাঁড়ানো বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী জার্মান কোচও।