ফের এটিকে মোহনবাগানে (ATK Mohun Bagan) ফিরলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan)। ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) ক্লাব থেকে রিলিজ পেয়ে গেলেন তারকা ডিফেন্ডার। আইএসএলে (ISL)দলের রক্ষণকে মজবুত করতেই সন্দেশকে দলে নিলেন সবুজ-মেরুণ কর্তৃপক্ষ।
এ যেন মাঝে সাময়ীক বিরতি। তারপর ঘরের ছেলে ঘরে ফেরা। জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এটিকে মোহনবাগানে (ATK Mohun Bagan) ফিরলেন তারকা ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan)। ক্রোয়েশিয়ার (Coratia) ক্লাব সিবেনিকের থেকে ছাড়পত্র পেতেই পুরোনো ক্লাবে যোগ দেওয়ায় আর কোনও বাধা ছিল না জাতীয় দলের ডিফেন্ডারের। বিদেশী ক্লাবের সঙ্গে ঝিঙ্গানের সব সম্পর্ক শেষ হতেই সবুজ-মেরুণের পাতের প্রিয় সন্দেশ হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার এটিকে মোহন ক্লাবের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় সন্দেশ ঝিঙ্গানের ফের ক্লাবে ফেরার কথা। প্রিয় তারকা ফের সবুজ-মেরুণ জার্সিতে ফেরায় খুশি ক্লাব কর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকরা। এবার শুধু ফিটনেসের উন্নতি ঘটিয়ে মাঠে নামার অপেক্ষা।
গত মরসুম পর্যন্ত এটিকে মহোনবাগানেই ছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। কিন্তু বিদেশে খেলার সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া করতে চাননি ভারতের তারকা ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান। এটিকে মোহনবাগান ছেড়ে পারি দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব সিবেনিকে। কিন্তু একের পর এক চোট সমস্যার কারণে প্রথম একাদশে আর খেলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবে যোগদানের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে দলে ঢুকলেও প্রথম একাদশে জায়গা পাননি সন্দেশ। এই পরিস্থিতিতে ফের চোট পান তিনি। সুস্থ হওয়ার জন্য ভারতেই চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন সন্দেশ। পরে ভিসা নিয়ে সমস্য়া ও মাঠের বাইরে থাকার যন্ত্রণা বেশি দিন সইতে না পেরে পুরোনো ক্লাবে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন সন্দেশ। তবে রিলিজের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। অবশেষে সেই রিলিজ চলে আসায় সন্দেশও ফিরলেন এটিকে মোহনবাগানে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস পরবর্তী জমানায় জুয়ান ফেরান্দো দায়িত্ব নিয়ে দলের হাল অনেকটাই ধরে নিয়েছেন। ৩টি ম্য়াচের ২টি জয় ও একটি জয় পেয়েছে দল। তবে রক্ষণ নিয়ে একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছিল সবুজ-মরেুণ শিবিরে। কারণ গত মরসুমে লিগ পর্বে সব চেয়ে কম গোল খেয়েছিল এটিকে-মোহনবাগান। ২০টি ম্যাচে মাত্র ১৫টি। এবার ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সন্দেশ ঝিঙ্গানের মত প্লেয়ার চলে আসায় সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিরির সঙ্গে ফের একবারর সন্দেশ যুক্ত হলে সবুজ-মেরুণের রক্ষণ অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকার ফলে কত তাড়াতাড়ি সন্দেশ নিজেকে ম্যাচ ফিট করে তলতে পারেন এবার সেটাই দেখার।