বাংলা নববর্ষের (Poila Baishakh) প্রথম দিনে লোগো ও জার্সি আত্মপ্রকাশ করল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব (Diamond Harbour Football club)। বাংলার প্রতিভা তুলে আনা ও ফুটবলের মানোন্নয়ন ঘটানোই লক্ষ্য নয়া ক্লাবের।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। গতবছর ডায়মন্ড হারবারের এমপি কাপের সময় সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন ফুটবল ক্লাব তৈরি করার। নাম ঠিক করেছিলেন ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব (Diamond Harbour Football club)। বিগত কয়েক মাস ধরে চলছিল সেই প্রস্তুতি। সম্প্রতি নিজের ক্লাবের নতুন টিজার প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর বাংলা নববর্ষের (Poila Baishakh) প্রথম দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ হল বাংলা ফুটবলের আরও একটি নতুন ক্লাবের। পয়লা বৈশাখে ক্লাবের লোগো ও জার্সি উন্মোচন করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি সহ অন্যান্যরা।
বাটানগর স্টেডিয়ামে মহা ধুমধামের মধ্য দিয়ে শুরু হল এই নতুন ফুটবল ক্লাবের পথ চলা। এই স্টেডিয়ামই ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের ঘরের মাঠ হবে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ক্লাবের বারপুজোর অনুষ্ঠানেও যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপপাধ্যায়। ক্লাবের সাফল্যের জন্য সংকল্পও করেন তিনি। প্রথম বছরেই কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলবে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। লক্ষ্য আগামী দু’-এক বছরে মধ্যে প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলা। একইসঙ্গে আইএসএলে খেলা যে এই ক্লাবের লক্ষ্য তাও পরিস্কার করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন "এমন শুভ দিনে আমাদের ক্লাবের পথচলা শুরু হল। আমাদের স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবে রুপ পেল। দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আমরা এ বার কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশন খেলব। তবে আমাদের লক্ষ্য হল আইএসএল খেলা।"
একইসঙ্গে এই ক্লাবের সঙ্গে যে রাজনীতির কোনও যোগ থাকবে না সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা ও খেলোয়ারদের প্রতি সুবিচার করা ও প্রতিভার অনুসনধান করাই ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাবের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেছেন,'এমপি কাপ করতে গিয়ে দেখেছি এখানে সুযোগ সুবিধার সমস্যা রয়েছে। এখানে খেলোয়াড়ের অভাব নেই। বাইরে থেকে লোক এসে এখান থেকে ফুটবলার নিয়ে যায়। আমরা ফুটবলারদের সব রকম সুযোগ সুবিধার দিকে খেয়াল রাখব। প্রতিভার প্রতি সুবিচার করা হবে।' এছাড়াও তিনি বলেছেন,'সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কেবল রাজনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা সম্ভব নয়। রাজনীতির ময়দানে রাজনীতি হবে। আমি অনুরোধ করব জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এই ক্লাবের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আপনি বিজেপি করলেও স্বাগত, আপনি তৃণমূল করলেও স্বাগত। আপনি সিপিএম করলেও স্বাগত, আপনি কংগ্রেস করলেও স্বাগত। রাজনীতি করলেও স্বাগত, না করলেও স্বাগত। ডায়মন্ড হারবার সবার। আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রাজনীতি যার যার, ফুটবল সবার।' এই ক্লাব বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী ফুটবল মহল।