পাশের বাড়ির মেয়ে থেকে সাহসী নগ্নপ্রায়, পুরুষদের ঘুম কেড়েছেন এই বাঙালি ইনস্টা মডেল
তিনি কোনও সিনেমা টেলিভিশনের অভিনেত্রী নন। আবার পেশাদার ফটোগ্রাফি মডেল, বিজ্ঞাপনি মডেল বা ফ্যাশন মডেল কোনওটাই নন। তিনি ছবি পোস্ট করেন শুধু ইনস্টাগ্রামে। তাতেই বহু পুরুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছেন এই বাঙালী তরুণী। কীভাবে? তাঁর বিরুদ্ধে নগ্নতা প্রচারের অভিযোগ এনে অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল। দারুণভাবে ফিরেও এসেছেন তিনি। কে এই লাভলি ঘোষ?
amartya lahiri | Published : Mar 24, 2020 5:59 PM IST / Updated: Mar 25 2021, 12:39 PM IST
লাভলি ঘোষ ইনস্টাগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের শেষের দিকে। তখনও ইনস্টাগ্রাম মডেলিং নিয়ে কোনও ভাবনা ছিল না তাঁর।
আর পাঁচজন সোশ্যাল মিডিয়া পাগল বাঙালি মেয়ের মতোই সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি পরে বিভিন্ন জায়গার ঘোরার ছবি বা সেলফি পোস্ট করতেন। জনপ্রিয়তাও কিছু ছিল না।
২০১৯ সালের শুরু থেকেই একটু একটু করে মেলে ধরতে থাকেন তিনি।
ক্রমশ কাপড় কমতে থাকে তাঁর শরীরে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ার।
এরপর একের পর এক হট ইমেজ ইনস্টাগ্রামে ঝড় তোলেন তিনি।
হুহু করে বাড়তে থাকে তাঁর ফলোয়ার। বহু পুরুষই তাঁকে কামনা করতে থাকেন। ইনস্টাগ্রামে ট্রেন্ড করতে থাকে তাঁর ছবিগুলি।
২৩ বছরের এই বাঙালি ইনস্টাগ্রাম মডেল কে নিয়ে একাধিক ব্লগে লেখালিখি শুরু হয়।
কয়েকজন ইউটিউবার লাভলি ঘোষ-কে নিয়ে ভিডিও-ও তৈরি করেন।
তাঁর লাভলি ঘোষ নামটা অবশ্য অনেকেই জানে না। সোশ্য়াল মিডিয়া তাঁকে চেনে শেরনি নামে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম ইউজার নেম 'কল_মি_শেরনি'।
লাভলি ঘোষের মুখে চিরন্তন বাঙালি লালিত্য় রয়েছে। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, সেটা নিয়েই কীভাবে সেক্সি হয়ে ওঠা যায়।
বাঙালি মেয়ে বলেই হয়তো শাড়িতে কীভাবে উষ্ণতা বাড়িয়ে তুলতে হয়, সেই কলা তাঁর ভালোই জানা।
তাই বলে পশ্চিমী পোশাকেও শেরনি কম যান না।
এমনকী অন্তর্বাসেও তাঁর মধ্যে লালিত্য ও কামনার এক অদ্ভূত ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়।
অনেকেই বলেন পশ্চিমী পোশাকের থেকেও দেশি পোশাকে তাঁকে বেশি হট লাগে। এই নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে তাঁর ফলোয়ারদের মধ্যে।
তর্ক রয়েছে তাঁর শরীরে সবচেয়ে হট অংশ কোনটি, তা নিয়েও। কারোর মত, তাঁর বক্ষ, কারোর নিতম্ব। অনেকে আবার বলেন তাঁর অভিব্যক্তিটুকুই যথেষ্ট।
অনেকেই তাঁকে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্ন করেছেন তাঁর শারীরিক পরিমাপ নিয়ে। খোলামেলা পোশাকে ছবি তুলতে যেমন লাভলি বা শেরনির কোনও দ্বিধা নেই, তেমন শরীর বিষয়ক প্রশ্নেও তাঁর কোনও ছুৎমার্গ নেই। সরাসরি জানিয়েছেন তাঁর মাপ ৩৬-২৫-৩৫।
শেরনি তাঁর ভক্তদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিলেও একটি বিষয় রহস্যই রেখেছেন। তা হল কার ক্যামেরার লেন্সের সামনে তিনি কামনার দেবী হিসাবে আবির্ভূত হন? তাঁর অনেক ভক্ত শুধু তাঁর ছবি তোলার জন্যই ফটোগ্রাফার হতে চান।
লাভলি ঘোষ অবশ্য একবার নগ্নতা প্রচার করার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ইনস্টাগ্রামের নগ্নতা বিধিভঙ্গের অপরাধে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়।
কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে ফের আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে ইনস্টাগ্রামে ফিরে এসেছেন তিনি। ভক্তরাও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। এর মধ্যেই তাঁর নতুন অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার-এর সংখ্যা ৮৮ হাজার-এরও বেশি।
লাভলি ঘোষ-কে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞাপন বা কোনও পেশাদার ফটোগ্রাফার-এর সঙ্গে মডেলিং করতে দেখা যায়নি। শুধু ইনস্টাগ্রামেই ভক্তদের কাছে ধরা দেন শেরনি, আর বাড়িয়ে দেন তাদের হৃৎস্পন্দন।