বিজয়ার গয়না বিক্রি থেকে নিজের শেষ সম্বলটুকু হারানো, 'পথের পাঁচালী'র প্রতি ফ্রেমে লেখা সত্যজিতের সংগ্রাম

কলকাতার হাসপাতাল বেডের উপর শুয়ে অসুস্থ সত্যজিৎ রায়। হাতে অস্কার। হাপাতে হাপাতেই ধন্যবাদ জানিয়ে চলেছেন অস্কারের জ্যুরিদের। মৃত্যুসয্যায় অস্কার হাতে স্পিচ দেওয়া ঠিক কতটা কষ্টকর, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয় সত্যজিৎ-ভক্তদের। তবে তাঁর কাছে বিষয়টি ছিল অত্যন্ত সুখকর। চার দশক ধরে ছবি বানানোর পর অবশেষে অস্কার চিহ্নিত করল তাঁকে। সেলুলয়েডের পৃথিবীতে আসার আগে তিনি একেবারেই কল্পনা করেননি যে ভারতের শেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবেন।

Adrika Das | Published : May 2, 2020 6:56 AM IST

110
বিজয়ার গয়না বিক্রি থেকে নিজের শেষ সম্বলটুকু হারানো, 'পথের পাঁচালী'র প্রতি ফ্রেমে লেখা সত্যজিতের সংগ্রাম

ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় মোটা টাকার চাকরি। ১৯৪৩ সালে এমন চাকরি পাওয়াটাই ছিল দুর্লভ। 

210

তবে সেই ৯টা ৫টার ছকে বাঁধা চাকরি যে এক শিল্পীকে আটকাতে পারল না। 

310

তবে এই গতে বাঁধা চাকরি তাঁকে রূপোলি পর্দার পথ দেখালো। সিগনেট প্রেসে বেশ ভাল পোস্টেই চাকরি পেলেন সত্যজিৎ।

410

বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকতে আঁকতেই ফিল্মমেকিংয়ের দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি।

510

বনলতা সেন, জিম করবেটের ম্যান ইটার্স অফ কুমায়ুন, রূপসী বাংলা নয়া রূপ পেল তাঁরই হাত ধরে।

610

'আম আঁটির ভেঁপু' নিয়ে কাজ করতে করতে পরে ফেললেন মূল উপন্যাসটি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাস নিজে কাজ শুরু করার ভাবনা বদলে ফেলল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎকে।

710

তবে ফিল্মমেকিংয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং চিত্রনাট্য ছাড়াও যে অর্থ প্রয়োজন ছিল, তা জোগাড় করতে গিয়ে প্রায় নিশ্ব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

810

নিজের এবং স্ত্রী বিজয়া রায়ের শেষ সম্বলটুকু চলচ্চিত্র তৈরির জন্য ব্যয় করার পর তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়ান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়।

910

মারাত্মক সংগ্রাম, কঠোর পরিশ্রমের পর ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় 'পথের পাঁচালী'। নিশ্চিন্দিপুর, অপু-দূর্গা, কাশবনের মধ্যে দিয়ে রেলগাড়ি দেখা, এই দৃশ্য গুলি যেন ভোলার নয়।

1010

অর্থ সঙ্কটের মাঝেও এমন ছবি তৈরি করে কেবল বাংলাই নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎকে অন্য দিশা দেখালেন সত্যজিৎ রায়।  

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos