২১-এর ভোটযুদ্ধে দিন-রাত এক করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জোরকদমে ভোটপ্রচারে সামিল হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। একুশের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়ার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিএমসি-র অন্যতম তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে ভোটে জিততে পারেননি অভিনেত্রী। কিন্তু ভোটে হেরেও জনসেবার কাজ চালিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, ভোটে হারার পরও পেয়েছেন গুরুদায়িত্ব। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে সায়ন্তিকা ব্যানার্জিকে।
৩৫-এ পা দিলেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। এখনও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি অভিনেত্রী। এমনকী নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। তবে কবে নিজের মনের মানুষের সঙ্গে মিঙ্গল হবে তারই অপেক্ষায় ভক্তরা।
সূত্রের খবর, একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া লোনের ঋণে জর্জরিত সায়ন্তিকা। বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্কে তার মোট ৮ টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে সায়ন্তিকার নামে একাধিক ঋণ নেওয়া রয়েছে। এত টাকা লোন নিয়ে কী কী করেছেন অভিনেত্রী। এই প্রশ্নও উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, সায়ন্তিকা একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনেছিলেন। যার দাম ৪৩ লক্ষ,৫৬ হাজার, ৪৩৬ টাকা। এই গাড়ি কেনার জন্যই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন নায়িকা।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকার কার লোন রয়েছে। এছাড়াও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে ১৪ হাজার ৯৭ টাকার পার্সোনাল লোন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়ন্তিকার বহু ভক্তরাই জানত না যে সায়ন্তিকার বাবা এতটা হ্যান্ডসাম। কারোর পক্ষেই এটা বলা সম্ভব নয় যে ইনি সায়ন্তিকার বাবা। সায়ন্তিকা যখন প্রথমবার নিজের বাবার সঙ্গে ছবি আপলোড করেন, চোখ কপালে ওঠে সকল ভক্তদের।
এখানেই শেষ নয়, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৯৭ টাকার লোন রয়েছে সায়ন্তিকার।
১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩৬ টাকার সোনার গয়না রয়েছে সায়ন্তিকার। তবে সায়ন্তিকার নিজের নামে কোনও বাড়ি-জমি নেই। বর্তমানে নগদ টাকার পরিমাণ ৪৩ হাজার, ১২৭ টাকা। যার মধ্যে বন্ধন ব্যাঙ্কে ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে ২৭৭ টাকা।
বর্তমানে বাঁকুড়ার মানুষদের জন্য জোরকদমে কাজ করে চলেছেন সায়ন্তিকা। বাঁকুড়ায় হারলেও করোনাকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সায়ন্তিকা। দুয়ারে ডাক্তার, দুয়ারে অক্সিজেন, কোভিড সেফ হোম -এর মতো একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি।