মৃত্যুর হাত থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন উত্তম কুমার, জন্মদিনে ফিরে দেখা 'মহানায়ক'-কে


৩ রা সেপ্টেম্বর মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প। আজ তিনি আর নেই, পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিটুকুই। তবে যা কিছু তিনি দিয়ে গেছেন, তা আর দ্বিতীয়টি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প। আজ তিনি আর নেই, পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিটুকুই। সাতের দশকের শুরুর দিকে, কলকাতায় নকশাল আন্দোলনের সময় উত্তম কুমারকে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতেই তাঁর নিজস্ব মেকআপ রুমে সশস্ত্র হানা দিয়েছিল কয়েকজন যুবক। উত্তমকুমারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল তারা। উত্তম কুমার  এতটাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন এবং ঝাঁকুনি খেয়েছিলেন যে সেই দিনই মাথার চুল ছোট করে ছেঁটে বম্বে মেল-এ চড়ে বসে ছিলেন মহানায়ক। পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর, কীভাবে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন জানলে চমকে যাবেন।

Riya Das | Published : Sep 3, 2022 7:52 AM IST

18
মৃত্যুর হাত থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন উত্তম কুমার, জন্মদিনে ফিরে দেখা 'মহানায়ক'-কে

বাঙালির হার্টথ্রব উত্তম কুমার। মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প। আজ তিনি আর নেই, পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিটুকুই। তবে যা কিছু তিনি দিয়ে গেছেন, তা আর দ্বিতীয়টি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। আজ ৩ রা সেপ্টেম্বর মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। 

28


কেরিয়ারের  শুরুতেই ৭ টি ছবি পরপর ফ্লপ। ইন্ডাস্ট্রি 'ফ্লপ মাস্টার জেনারেল' উপহার দিয়েছিল উত্তমকে। তারপরই তার নায়কসত্ত্বা বেরিয়ে এসেছিল। দাপুটে নায়কই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন মহানায়ক।

38

প্রথম দিকে ভাল সংলাপ না বলতে পারা উত্তম কুমারই নিজের প্রতিভা আর শ্রমকে অন্য উচ্চতায় তুলে আনেয ১৯৬৫-এর পরবর্তী সময়ে উত্তম যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।  ১৯৭০ -এর পর থেকে উত্তম হয়ে উঠেছিলেন সকলের 'মহানায়ক'।

48


সাতের দশকের শুরুর দিকে, কলকাতায় নকশাল আন্দোলনের সময় উত্তম কুমারকে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতেই তাঁর নিজস্ব মেকআপ রুমে সশস্ত্র হানা দিয়েছিল কয়েকজন যুবক। উত্তমকুমারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল তারা। উত্তম কুমার  এতটাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন এবং ঝাঁকুনি খেয়েছিলেন যে সেই দিনই মাথার চুল ছোট করে ছেঁটে বম্বে মেল-এ চড়ে বসে ছিলেন তিনি। যাতে ট্রেনে তাঁকে দেখে কেউ চিনতে না পারেন।

58

মুম্বই এসে উত্তম কুমার প্রথম উঠেছিলেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যর বাড়ি। এভাবে মাস খানেক টানা মুম্বইয়ে কাটিয়ে ছিলেন উত্তম কুমার। দ্বিতীয় দিনেই অভি ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে তিনি রওনা দিয়েছিলেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তখন মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের সাত নম্বর রোডের বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে উত্তম কুমার এসেছিলেন সুপ্রিয়া দেবীকে সঙ্গে নিয়ে।

68

কলকাতার ওই ঘটনায় এতটাই ভয় পেয়েছিলেন উত্তম কুমার, যে প্রায় ঠিকই করে ফেলেছিলেন আর কলকাতায় ফিরতে পারবেন না। বিশ্বজিতের ফ্ল্যাটে বসে উত্তম কুমার বিশ্বজিৎ-কে বলেছিলেন, 'বিশু, চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা ছবি বানাব। আর এখানে বসেই বাংলা ছবির শুটিং করব।'
 

78

সেই ঘটনা উত্তমকুমারকে এতটাই নাড়িয়ে দিয়েছিল যে তিনি ধরেই নিয়েছিলেন যে, কলকাতায় আর তাঁর ফেরা হবে না।  'বেনুদি বলেছিলেন, সেদিন এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন উত্তমদা, যে ওঁর পুরো শরীর হলুদ হয়ে গিয়েছিল। যদিও তার আগেই উত্তমদা হার্ট অ্যাটাকের ঝাপটা সামলে উঠেছিলেন কোনও রকমভাবে। আর তারপরেই ওই ঘটনা পুরো নাড়িয়ে দিয়েছিল মহানায়ককে।'
 

88

 বাঙালির মহানায়ক। তাকে নিয়ে নানান গল্প রয়েছে বাঙালির মননে।  মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প।  তার মৃত্যু যেন বাঙালির সিনেমার এক অধ্যায়ের শেষের সূচনা। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos