বড়পর্দা থেকে টেলি-দুনিয়ায় একছত্র রাজত্ব ইন্দ্রানী হালদারের, জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই সফর
কখনও প্রথম সারির তারকাদের বিপরীতে, কখনও আবার টেলিদুনিয়ার পর্দায়। একের পর এক ছবিতে বাজিমাত করেছেন টলি তারকা ইন্দ্রানী হালদার। একাল সেকাল মিলিয়ে একাকার এই অভিনেত্রীর লুক থেকে শুরু করে পর্দায় উপস্থিতি। জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই সফর।
Jayita Chandra | Published : Jan 6, 2020 12:28 PM IST / Updated: Jan 06 2020, 05:59 PM IST
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে প্রথম থেকেই সারা ফেলেছিলেন এই অভিনেত্রী। গ্ল্যামারের পাশাপাশি চরিত্রের উপস্থাপনা বরাবরই দর্শকদের নজর কেড়েছে।
ইন্দ্রানী হালদার জন্মগিরহণ করেছিলেন ১৯৭১ সালে ৬ জানুয়ারি। ক্লাসিক নৃত্যে তিনি পারদর্শী ছোট থেকেই। সেই নিয়ে পড়াশুনাও করেছিলেন অনেক।
প্রথম থেকেই নাটের মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। থাঙ্কুমুনি কুট্টির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন নাচের। পরবর্তীতে পর্দায় তাঁকে বহুবার নৃত্যশিল্পীর ভূমিকাতে পাওয়া যায়।
দূরদর্শনে মহালয়াই হোক কিংবা বর্তমানে জি বাংলা। দুই ক্ষেত্রেই মা দূর্গার ভূমিকাতে তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন।
তেরো পার্বণের মাধ্যমে ইন্দ্রানী হালদারের প্থম অভিনয় জগতে হাতে খড়ি হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেনম শিশু শিল্পী। প্রথমেই নজর কেড়েছিলেন তিনি সকলের।
অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে সকলের মন কেড়ে পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠে ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী।
বিয়ের ফুল ছবি তাঁর জীবনের সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি। সেই ছবিতে রানী মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও।
তাঁর উল্লেখ যোগ্য ছবির মধ্যে অন্যতম ছবিগুলি হল- আরো একবার, অংশুমানের ছবি, দহন প্রভৃতি। যা আজো সকলের মনে তরতাজা।
হিন্দি টেলিসিরিয়ালেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বহুবার। মুম্বই থেকে ডাক পেয়েছেন এই অভিনেত্রী বেশ কয়েকবার। তাঁর অভিনয় দেশ জুড়ে সকলের নজর কাড়ে।
গোয়েন্দা গিন্নি ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েও তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। সেখানে একের পর এক রহস্য ভেদে কীভাবে এক গৃহবধূ সকলের নজর কাড়তে পারে তারই গল্প ফুঁটে উঠেছিল।
সম্প্রতি ধারাবাহিক শ্রীময়ীতে তিনি মূখ্য ভুমিকাতে অভিনয় করছেন। প্রতি সপ্তাহতেই এই ধারবাহিকের টিআরপি সব থেকে বেশি থাকে।
গোয়েন্দা গিন্নি ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েও তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। সেখানে একের পর এক রহস্য ভেদে কীভাবে এক গৃহবধূ সকলের নজর কাড়তে পারে তারই গল্প ফুঁটে উঠেছিল।
অভিনয়ের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। প্রথম পুরস্কারটি তাঁর হাতে উঠে আসে ১৯৯৫ সালে, চরাচর ছবিতে অভিনয় করার জন্য।
কুয়াশা যখন-এ অভিনয় করে তিনি আবারও পেয়েছিলেন সেরার সেরা পুরস্কার। সেই পুরস্কার হাতে উঠে এসেছিল ইন্দ্রানী হালদারের ১৯৯৭ সালে।
জিবাংলা সোনার সংসারের একাধিক পুরস্কার তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন একাধিকবার। প্রতিবছরই সেরার সেরা পুরস্কারটি পেয়ে এসেছেন।
খল নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। শিমন্তিনী-তে অভিনয় করার পর এক ভিন্ন রূপে দর্শকেরা চিনেছিলেন ইন্দ্রানী হালদারকে।
অনু ছবিতে অভিনয় করে ২০০০ সালে ইন্দ্রানী হালদার পেয়েছিলেন আনন্দলোক পুরস্কার। সেই ধারাবাহিকে অনবদ্য লুকে ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
দহণ ছবিতে অভিনয় করার পর ১৯৯৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তিনি কলাকার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তাঁর অভিনয়ের সুবাদে।
মাঝে বেশ কয়েকবছর দর্শক ইন্দ্রানী হালদারকে পর্দায় পাননি। সেই খামতি মিটিয়েই কয়েকবছর ধরে দাপটের সঙ্গে ছোটপর্দায় রাজত্ব করছেন তিনি।
তাঁর করা প্রতিটি চরিত্রই হিট। ইন্দ্রানী হালদারের জন্মদিনে সোমবার সকাল থেকেই নেট দুনিয়ায় ঝড়। শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।