Nusrat Jahan - 'দশের মধ্যে এগারো দেব', বাবা হিসেবে কেমন যশ, মার্কশিট নম্বরে জানালেন নুসরত জাহান

মা হওয়ার পর ২ মাসও কাটেনি নুসরতের (Nusrat Jahan)। এর মধ্যেই স্বামী যশের (Yash Dasgupta)সঙ্গে বরফের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন নুসরত,  তবে একরত্তি ঈশানের কোনও ঝলক এখনও দেখা যায়নি, হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে কি ছেলেকে নিয়ে কাশ্মীরে গেছিলেন নাকি কলকাতায় রেখেই কাশ্মীর রওনা, হাজারো জল্পনার মধ্যেই কলকাতা ফিরে মুখ খুললেন নুসরত জাহান।

ছেলে ঈশানের (Yishaan) জন্মের ২ মাস কাটতে না কাটতেই আগামী ছবি  জয় কালী কলকাত্তাবালী-র শুটিংয়ের ফাঁকে সাক্ষাৎকারে নুসরত জানিয়েছেন, বাবা ও মায়ের কাছে ঈশানকে রেখেই প্রথমবার কাশ্মীরে  (Kashmir) রওনা হয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান ( Nusrat Jahan )।

নুসরতের সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি মারলেই আপনি এক মিনিটে কাশ্মীর ভ্রমণটা সেরে নিতে পারবেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কাশ্মীর ডায়েরির ছবি শেয়ার করছেন বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। 

কন্ট্রোভার্সি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। নেগেটিভ কমেন্ট থেকে বিতর্ক তাকে যেন ঘিরে রয়েছে সর্বদা। ব্যক্তিগত চর্চা থেকে সন্তানের পরিচয় শিরোনামে রয়েছেন নুসরত জাহান ( Nusrat Jahan )। স্বামী যশের (Yash Dasgupta) সঙ্গে কাশ্মীর ভ্রমণে গেছিলেন নুসরত, যার কারণেও নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছিলেন নুসরত। 

 তবে বাবা হিসেবে যশ (Yash Dasgupta) কেমন, কত নম্বর তিনি দিতে চান, প্রথমসারির সাক্ষাৎকারে খোলসা করে জানালেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। নুসরত (Nusrat Jahan) যদি শিক্ষক হন, তাহলে বাবা হিসেবে যশ কত নম্বর পাবেন তা-ও খোলসা করলেন নুসরত জাহান।

প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে নুসরত (Nusrat Jahan) জানিয়েছেন, যশ ইজ অ্যান অ্যামেজিং ফাদার। ও আছে বলেই আমি সবটা সামলে নিতে পারছি। আমি যখন শুটিংয়ে যাচ্ছি ও পুরোপুরি ঈশানকে সামলে রাখছে। আবার ও যখন শুটিংয়ে যাচ্ছে তখন আমি ছেলেকে সামলে রাখছি।

নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) আরও জানিয়েছেন, মার্কশিটের হিসেবে যদি নম্বর দিতেই হয়, তাহলে বাবা হিসেবে  যশকে অবশ্যই দশের মধ্যে এগারো দেব আমি। কারণ একজন বাবা হিসেবে যতটা করা দরকার ও তার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। 
 

নুসরত আরও জানালেন, অভিনয় থেকে কেরিয়ার, সাংসদীয় দায়িত্ব, মায়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে অন্য বেগ পেতে হচ্ছে। তবে কর্মই ধর্ম এটা তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি দিনের অর্ধেকটা সময় সন্তানের জন্য এবং বাকি সময়টা  কাজের জন্য তুলে রাখছেন।

ঈশানের মা প্রতিটা মুহূর্ত এনজয় করছেন। তার মতে, আগের সঙ্গে এখনকার কাজের একটা জিনিস বদলে গিয়েছে। এখন প্যাক -অ্যাপ করে বাড়ি ফেরার প্রচন্ড তাড়া থাকে। কারণ ঈশান যতটা না আমার জন্য অপেক্ষা করে আমি তার চেয়ে বেশি পাগল থাকি ওকে কোলে নেওয়ার জন্য।

টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল বললেই  যশ-নুসরতের নাম সবার শীর্ষে। মা হওয়ার পর থেকেই প্রেম যেন দ্বিগুন বেড়েছে নুসরত জাহানের। রাখঢাক, লুকোছাপা এসব এখন অতীত। খুল্লামখুল্লা রোম্যান্স যেন প্রকাশ্যেই ধরা পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

গত এক বছরে সম্পর্কের সমীকরণের পুরো বদলে গিয়েছে যশ- নুসরতের। সহকর্মী থেকে স্বামী যশের সঙ্গে বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন নুসরত। মা হওয়ার পর থেকেই খুল্লামখুল্লা প্রেমে মজেছেন নুসরত জাহান।