জন্মাষ্টমীর দিন ছোট্ট কৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নুসরত, ৪ দিনের একরত্তিকে আগলে 'সহবাস' সঙ্গী যশ

গত বৃহস্পতিবারই  পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান । সি-সেকশনের পর মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন নুসরতের সহবাস সঙ্গী যশ দাসগুপ্ত। তবে নুসরতের ছেলে জন্মের পরই সদ্যোজাতকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই। 
 

 ইতিমধ্যেই সদ্যোজাতকে চোখে হারাচ্ছেন মা নুসরত। নিজের কোল ছাড়া একমুহূর্ত করছেন না সন্তানকে। এমনকী নার্সারিতেও রাখছেন না ছেলেকে,  নিজের বিছানায় তাকে আগলে রেখেছেন টলিপাড়ার নতুন মা।
 

 স্তন্যপান করানো থেকে ছেলের যাবতীয় কাজই একাই সারছেন নুসরত। গতকাল ছোট্ট ঈশানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল মাম্মা নুসরতের, কিন্তু তা আর হয়নি। 

কেন সদ্যোজাতকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন না নুসরত, আর কতদিন থাকবেন হাসপাতালে এই প্রশ্নই উঠে এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও রাত পোহাতেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন নুসরত জাহান।
 

অবশেষে জন্মাষ্টমীর শুভ দিনে ছোট্ট কৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নুসরত জাহান। সহবাস সঙ্গী যশের গাড়িতে করেই ছেলে ঈশানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নুসরত। যশের সাদা রঙের এসইউভি-র সামনের সিটে বসেই বাড়ি ফিরলেন নুসরত।
 

সন্তান জন্মের পর থেকেই চিকিৎসকদের কড়া নজরে ছিলেন নুসরত জাহান। আপাতত নুসরতের কোনও শারীরিক জটিলতা নেই। সন্তান জন্মের ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই এবার  একটু একটু করে হাঁটতেও শুরু করেছেন নুসরত জাহান।

কলকাতার পার্কস্ট্রিটের ভাগীরথী নেওটিয়া হাসপাতালে ৫১১ নম্বর বেডে রয়েছেন নুসরত জাহান। লক্ষ্মীবারেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নুসরত। সি-সেকশনের পর মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন।
 

নুসরতের সন্তানের ওজন হয়েছিল ২.৯ কেজি। জন্মের পরের দিন থেকেই নিজেই ছেলেকে স্তন্যপান করাচ্ছেন নুসরত। সদ্যোজাতর খিদে পাচ্ছে কিনা, কিংবা কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেদিকে নিজেই খেয়াল রাখছেন নুসরত।

তবে শুধু নুসরত একাই নয়, সদ্যোজাতকে চোখে হারাচ্ছেন যশ দাশগুপ্ত। মা ও সন্তানের কাছে সন্তানের কাছেই সর্বদাই রয়েছেন নুসরতের প্রেমিক। 

আপাতত নুসরতেরও কোনও শারীরিক জটিলতা নেই। আজ নুসরতের সন্তানের বেশ কিছু পরীক্ষাও করা হয়, সমস্ত রিপোর্ট স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, মা এবং সন্তান এক্কেবারে সুস্থ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং তারপরই সোমবার দুপুরে বাড়ি ফিরলেন নুসরত জাহান।