Published : May 30, 2020, 01:39 PM ISTUpdated : May 30, 2020, 01:40 PM IST
সালটা ২০১৩ দিনটা ৩০ মে। আজই সেই বিশেষ দিন। কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৭ বছর। করোনা আতঙ্ক, লকডাউন সবই চলছে নির্বিকারে। আর তার মাঝেই যেন মনে পড়ে গেল ভারতীয় সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের কথা। আজকের দিনেই আচমকাই পৃথিবীকে চিরবিদায় জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। অসময়ে তার মৃত্যু আজও সকলের কাছে অবিশ্বাস্য। তার সমকামীতা নিয়ে একসময় গোটা বিনোদন জগত উত্তাল হলেও তার অবদান আজও সকলের মনে অমলিন। সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা এক অন্য 'ঋতু '-কে।
ঋতুপর্ণ মানেই টানটান চিত্রনাট্য, সাবলীল অভিনয়। কিন্তু তিনি আজ আর নেই। শুধু রয়ে গেছে তার অভিনয় দক্ষতা, গল্পের জমাটি বুননের এক টাটকা বাতাস। তার লেখা পড়লেই বোঝা যায়, তিনি কতটা মননশীল ও সংবেদনীল ছিলেন।
ঋতুপর্ণ ঘোষকে স্মরণ করে লোপামুদ্রা প্রোডাকশনস-এর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেল 'ঋতুপর্ণর শ্রুতিসৃষ্টি'। কবি শ্রীজাত-র লেখা '৩০ কে' কবিতা পাঠ করেই শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়েছে পরিচালককে।
48
কবিতাটি পাঠ করেছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গেই যোগ্য সঙ্গত রেখে রবি ঠাকুরের 'বন্ধু রহো রহো সাথে' গান ধরলেন লোপামুদ্রা মিত্র। পুরো বিষয়টির নেপথ্য রয়েছেন জয় সরকার। এবং সম্পাদনায় উত্তরণ দে।
58
পরিচালক সত্যিই কি সমকামী ছিলেন, এই নিয়ে বহু মতামত রয়েছে। কারণ ঋতুপর্ণর কাছে যৌনতার সংজ্ঞাটাই ছিল ভিন্ন।
68
তবে তিনি সমকামী থাকুক বা অসমকামী, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন খাটি সোনা। তার কাছে জীবনের মূল্যবোধটাই ছিল আসল।
78
যৌনতার ট্যাবু ভেঙে শরীরকে তিনি অন্য ধাঁচে প্রয়োগ করেছেন ।পুরুষতন্ত্র, নীতি-নৈতিকতা, নারী-পুরুষবাচক লিঙ্গ বৈষম্যে তিনি ছিলেন ক্ষুরধার সাহসী।
88
শিল্পীর কোনও লিঙ্গ হয় না। সামাজিক লিঙ্গ কোনও পরিচয় হতে পারে না। এটা তিনি শিখেছিলেন তার বাবা-মায়ের কাছে। তার অকালপ্রয়াণে আজও বিনোদন জগতে বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে।