আয়ুষ শর্মা, সলমন খানের ভগ্নিপতি নিজের ডেবিউ মুভি নিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছিলেন। কেবল পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রথমেই ছবির নাম নিয়ে গুরাতের এক গোষ্ঠি সমস্যা শুরু করে। লাভরাত্রি থেকে নাম বদলে হয়ে গেল লাভযাত্রী। ছবির নামই নয়, তাঁর চরিত্রে নিয়েও নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। আয়ুষ নাকি সলমনের বোন অর্পিতাকে বিয়ে করেছেন বলিউডে এন্ট্রি পাওয়ার জন্য। সলমন যে বলিউডে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবনে গডফাদারের ভূমিকা পালন করেছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই সুযোগই নাকি নিয়েছেন আয়ুষ। এমনই নানা জল্পনা ঘিরে রেখেছিল আয়ুষকে।
আয়ুষ নাকি আসল দাও মেরেছেন। অসংখ্য নেটিজেনের আয়ুষের সম্বন্ধে নানা মন্তব্য করেছিল।
আয়ুষের পাশাপাশি অর্পিতার গায়ের রঙ নিয়েও মন্তব্য করে নিন্দুকরা। তাদের কথায়, অর্পিতাকে এমন দেখতে, আয়ুষের ওঁকে বিয়ে করার কারণ একটাই, বলিউড ব্রেক।
ওয়ারিনা হুসেন এবং আয়ুষের প্রথম ছবি 'লাভযাত্রী'তে পরিচালকের ইচ্ছে ছিল চুম্বনের দৃশ্য রাখার। জানা যায়, তবে সেই স্ক্রিপ্টে নাক গলিয়েছিলেন সলমন।
নিজের বোনের বর বলে ছবি থেকে কিসিং সিন বাদ দিয়ে দিয়েছেন সলমন। এমনকি ছবির গল্পের লেখককে রীতিমত হুমকি দিয়েছিলেন ভাইজান যাতে লেখক কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য না রাখতে পারেন।
এই গুজবে সলমন খানের ভক্তরা কান না দিলেও, লাভযাত্রীর ট্রেলার লঞ্চে ভিডিওতে এমনই কিছু কথা বলতে দেখা গিয়েছিল সলমনকে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিয়ে তাঁকে বলতে দেখা গিয়েছে, আমার বোনের বর আয়ুষ, ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কোনও সুযোগই দেব না আমি।
বিষয়টি মজার ছলেও বললেও বহু নেটিজেনের মনে হয়েছিল, সলমন খানিক হুমকি দিয়েই কথাটা বলেছেন।
প্রথম ছবির এই নেগেটিভিটির রেষ কাটিয়ে উঠেছেন ঠিকই তবে দ্বিতীয় ছবির আগেও যে এমন কুমন্তব্য তাঁর দিকে ধেয়ে আসবে না সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
অর্পিতা, আয়ুষের বিষয় জনসমক্ষে তেমন কিছুই বলেননা। তাই এই এ ধরণের মন্তব্য নিয়েও তিনি মুখ খোলেননি।
এও জানা গিয়েছে, সলমন, আয়ুষের আগামী প্রতিটি ছবিতেই নিজের পছন্দসই অভিনেত্রীদের কাস্ট করবেন।