গতকাল গভীর রাতে প্রয়াত হলেন সকলের প্রিয় মাস্টারজি সরোজ খান। ১৭ জুন থেকেই বান্দ্রার গুরুনানক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গতকাল গভীর রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন সরোজ খান। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টিনসেল টাউনে।
210
বলিউডের একটা যুগের অবসান হল তার মৃত্যুতে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। কিংবদন্তী কোরিওগ্রাফারের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত বলিউড।
310
বলিউডে চার দশকের বেশি সময় ধরে জড়িত ছিলেন তিনি। ২হাজারের বেশি গানে কোরিওগ্রাফি করেছেন সরোজ। আর তার বেশিরভাগটাই হয় শ্রীদেবী আর নয়তো মাধুরীর সঙ্গে। তবে শ্রী এর থেকে মাধুরীর সঙ্গেই বেশি কাজ করেছেন সরোজ খান।
410
শ্রীদেবী বনাম মাধুরী। জোরকদমে চলত টক্কর। দুজনই তখনকার সময়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। নাচ থেকে অভিনয়, রোম্যান্স সবতেই এগিয়ে চলছিলেন এই দুজন। যার ফলে টক্করটা আর জোরদার হয়েছিল।
510
একবার মাধুরীর কারণেই জোর ঝগড়া হয়েছিল সরোজ খান ও শ্রী -এর মধ্যে। সরোজের হাত ধরেই জনপ্রিয় হয়েছিলেন শ্রী। তার বিখ্যাত গানেই পিছনে অবদান রয়েছে মাস্টারজির।
610
এক সময়ে মিস্টার বেচারা, জুদাই, চাঁদনি, লমহে, নাগিন সহ আর ছবিতে সরোজ -শ্রীদেবী ছবি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকে তার সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়।
710
সমস্যা দানা বাঁধে ১৯৮৭ সালে। যখন মিস্টার ইন্ডিয়ার পরপরই মুক্তি পায় তেজাব ছবিটি। তেজাব ছবিটি মাধুরীর এক দো তিন দেখেই হিংসেই জ্বলে উঠেছিলেন শ্রী।
810
মাধুরীর নাচেরে স্টেপ তার থেকে অনেক বেশি ভাল বলে সরোজ খানকে দোষারোপ করেন শ্রীদেবী। আর তাতেই রেগে যান সরোজ। ঝামেলা ক্রমশ চরমে পৌঁছাতে থাকে।
910
একটা সময় সরোজের সঙ্গে কাজ করাই প্রায় বন্ধ করে দেন শ্রী। এমনকী এক বছর কথাও বন্ধ ছিল সরোজ-শ্রীদেবীর।
1010
তারপর অনিল কাপুরের একটি ছবিতে কোরিওগ্রাফি করতে গিয়ে ধীরে ধীরে কথা শুরু হয় তাদের। ১ বছর পর নিজেদের ঝামেলা আবার মিটিয়ে নেন সরোজ-শ্রীদেবী।