ঐশ্বর্য রাই বচ্চন সে কম সংখ্যক তারকাদের মধ্যে পড়েন যিনি কখনই সংবাদমাধ্যম, পাপারাৎজী কিংবা কোনও সঞ্চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। তবে ভারতীয় সংস্কৃতিকে কটাক্ষ করলেই উচিত জবাব দিয়েছেন ঐশ্বর্য। আমেরিকার জনপ্রিয় সঞ্চালক ডেভিড লেটারম্যান হোক বা অপরাহ উইনফ্রে, সকলকেই সম্মানের সহিত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আদবকায়দা মনিয়ে যোগ্য জবাব দেন ঐশ্বর্য। ধৈর্য রেখে জবাব দেওয়ার যোগ্যাতা বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীরই নেই। সেই বিরল প্রতিভা আজও নিজের মধ্যে রেখেছেন ঐশ্বর্য।
পনেরো-ষোলো বছরেরও বেশি হয়ে গিয়েছে সেই দিনের। যখন অপরাহ ইউনফ্রে ঐশ্বর্যকে ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে কটাক্ষ করার চেষ্টা করেছিলেন তাও আবার নরম সুরে।
210
ঐশ্বর্যের বুঝতে সমস্যা হয়নি যে তাঁকে সম্পূর্ণ রূপে তাঁর সংস্কৃতি নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। অভিনেত্রী খানিক্ষণ চুপ থেকেই সোজা সাপটা ভাষায় উত্ত দিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের।
310
অনুষ্ঠানে তাঁর আসার ঠিক আগের মুহূর্তে ঐশ্বর্যের বিষয় অপরাহ কিছু কথা বলছিলেন। সেখানেই তিনি ঐশ্বর্যের দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও চুম্বনদৃশ্য না থাকায় প্রশ্ন তোলেন।
410
তা নিয়ে যদিও তেমন হাহাকার পড়েনি সিনেদুনিয়ায়। সিনেপ্রেমীরা বরং কোয়ান্টিকোর প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে প্রশংসাই করেছেন।
510
তিনি বলেন, "বলিউডের পাশাপাশি হলিউডে নিজের অভিনয়ের দাপট দেখিয়েছেন ঐশ্বর্য। পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার খেতাবও তাঁর কাছেই রয়েছে। অথচ কোনও ছবিতে তাঁকে আজ পর্যন্ত চুম্বনরত অবস্থায় দেখা যায়নি।"
610
সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরও প্রশ্ন করেন, "ভারতে কি জনসমক্ষে চুম্বনরত হওয়া নিশিদ্ধ। নাকি ট্যাবু হিসেবে দেখা হয় নিজেক ভালবাসার মানুষকে সকলের সামনে চুম্বন করা।"
710
তারপরই ঐশ্বর্যের অথিতির আসনে এসে বসতেই তাঁর দিকে প্রশ্টি ছোঁড়েন অপরাহ। ঐশ্বর্য কিছুক্ষণ তাঁর দিকে হাসতে থাকেন। অন্যদিকে দর্শকাসনে বসা সকলেই হাসছেন।
810
ঐশ্বর্য সবটা শুনে উত্তর দেন, "আমাদের দেশেও সকলে চুম্বনরত হয়। সেটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা আমরা সকলের সামনে করা পছন্দ করে না। চুম্বন আমাদের কাছে একটা আবেগ যা আমরা জনসমক্ষে করা পছন্দ করি না।"
910
কেবল অনস্ক্রিন কিস নিয়েই নয়, ভারতে দেখাশোনা করে বিয়ে, বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে মা-বাবার সঙ্গে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অপরাহ।
1010
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে দেন ঐশ্বর্য। তিনি কোনও প্রশ্নে রেগে যাননি কিংবা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেননি, যেখানে প্রায় প্রতিটি প্রশ্নে লুকিয়ে ছিল তাচ্ছিলের ইঙ্গিত।