ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। বিশ্বসুন্দরী তকমা থেকে বি-টাউনে প্রবেশ, সফল কেরিয়ার, বচ্চন বধূ হয়ে ওঠা এই সমস্ত রঙিন ঘটনায় সাজানো তার জীবন। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, সম্পর্কের তিক্ততা সবেতেই যেন উঠে এসেছে ঐশ্বর্যর নাম। বন্ধুতের রসায়ন কখন যে তিক্ততায় পরিণত হয়েছিল তা টের পায়নি কেউই। বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান এবং প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তখন খ্যাতির শীর্ষে। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল তাদের মধ্যে যে আজও শাহরুখকে ক্ষমা করতে পারেননি ঐশ্বর্য। জেনে নিন বিশদে।
সম্পর্কেই শুধু নয়, একটি সিনেমাকে কেন্দ্র করেই আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন ঐশ্বর্য। সেই ছবির জন্যই ফের লাইমলাইটে উঠে এসেছে তার নাম।
211
'দেবদাস' থেকে 'মহব্বতে', শাহরুখ-ঐশ্বর্য জুটি তখন সুপারহিটের তকমা। শুধু অনস্ক্রিনই নয়, অফস্ক্রিনও তাদের দুজনের বন্ধুত্ব বেশ গভীর ছিল।
311
'চলতে চলতে' ছবির সেটেই ভাঙন ধরে দুজনের সম্পর্কে। ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে ঐশ্বর্যরই শুটিং করার কথা ছিল। এমনকী ছবির শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল।
411
ছবির শুটিং চলাকালীনই সেটে আচমকাই উপস্থিত হন সলমন খান। তখন ভাইজানের প্রেমে গদগদ ঐশ্বর্য।
511
হঠাৎই দুজনের মধ্যে প্রবল সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর নিজের রাগ ধরে রাখতে না পেরে সলমন পুরো ক্ষোভটাই ফ্লোরে উগরে দেয়। ফ্লোরের সেটও ভাঙচুর করেন সলমন।
611
সেই অশান্তি এতটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সলমনের সঙ্গেই বাধ্য হয়ে ফ্লোর ছাড়েন ঐশ্বর্য। কারোর কোনও কথা না শুনেই শুটিং অসম্পূর্ণ রেখে বেরিয়ে যান ঐশ্বর্য।
711
ছবিতে অভিনয়ই নয়, ছবির প্রযোজকও ছিলেন শাহরুখ খান। ঐশ্বর্যর এই ব্যবহারে সকলেই সেদিন হতাশ হয়েছিলেন। ঐশ্বর্যর উপর রেগে গিয়েই তিনি ছবি থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
811
তারপরই সিনেমা নায়িকা খুঁজতে থাকে শাহরুখ। প্রথমে কাজলকে অভিনয় করার জন্য বলা হয়। কিন্তু কাজল তাতে রাজি হয়নি। তারপর রানি মুখার্জিকে বলে শাহরুখ।
911
রানিও সবটা শুনে প্রথম অভিনয় করতে নারাজ ছিলেন। যদিও পরে শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে রাজি হয়ে যান। তারপরই ঐশ্বর্য জানতে পারেন তাকে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
1011
শাহরুখের এই সিদ্ধান্ত তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরিয়েছিল। যদি একজন প্রযোজকের জায়গা থেকেই শাহরুখ এমনটা করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
1111
শাহরুখ পরে আরও বলেছিলেন, হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার ঠিক হয়নি। সেদিনের ঘটনার জন্য আমি ঐশ্বর্যর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু সেই ঘটনার কথা আজও দগদগে ঐশ্বর্যর মনে।