ম্যাগাজিনের কভারেই কেল্লাফতে, অমিতাভের মন জিতেছিলেন জয়া, কীভাবে শুরু প্রেমপর্ব
প্রথম আলাপেই একপ্রকার অমিতাভ বচ্চনকে মন দিয়েছিলেন জয়া। আলাপ পর্ব থেকে শুরু করে মন দেওয়া নেওয়া, সবই চলছিল প্রকাশ্যে। তবে বিয়ে নিয়ে তেমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি বসতে হয়েছিল বিয়ের পিঁড়িতে, কীভাবে শুরু এই কিংবদন্তী জুটির প্রেমপর্ব...
৪৭ বছর আগে সকল তরুণীর মন ভেঙে অমিতাভ বচ্চন মালা দিয়েছিলেন জয়ার গলায়। তবে থেকে শুরু পথ চলা। আজও তাঁদের মধ্যে থাকা সম্পর্কের রসায়ণ এক কথায় অনবদ্য।
কীভাবে একে অন্যের কাছাকাছি এসেছিলেন এই জুটি, নেপথ্য পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সেখানেই প্রথম অমিতাভ বচ্চনকে দেখেছিলেন জয়া। প্রথম দেখাতেই বেশ ভালো লেগেছিল তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানিয়েছিলেন, তখনও অমিতাভ বচ্চন সুপারস্টার নন, স্ট্রাগেল করছেন পায়ের তলার মাটি শক্ত করার। কিন্তু তাঁর চোখে পড়েছিল অমিতাভের ব্যক্তিত্ব।
তবে অমিতাভ বচ্চন জয়াকে লক্ষ্য করলেও প্রথমে ঠিক ততটা গুরুত্ব দেননি। সম্পর্কের মাঝে তুরুপের তাস হয়ে দাঁড়ায় ম্যাগাজিনের কভার। জয়ার কভার পেজে ছবি দেখে ম্যাগাজিন হাতে তুলে নিয়েছিলেন অমিতাভ।
এরপর সেই ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন শাহেনশাহ জয়ার সঙ্গে সেরেছিলেন আলাপপর্ব। এরপর মাঝে মধ্যেই তাঁরা দেখা করতে শুরু করেন।
বিভিন্ন ছবির সেটে তাঁদের একই সঙ্গে দেখা যেত। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি গুড্ডি-র সেটে তাঁদের দেখা হয়। বন্ধুত্বও গাঢ় হয় তাঁদের এই সময়ই। জয়ার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে অমিতাভ বচ্চনকে।
এরপর এক নজর ছবি করার সময় জয়া বুঝতে পারেন তিনি মন দগিয়ে ফেলেছেন অমিতাভকে। অমিতাভের মনের অবস্থাও তখন এক। তবে শেষ বাজিমাত করেছিল জঞ্জির ছবি।
১৯৭৩ সালে এই ছবি তৈরিরহ আগে বন্ধুরা মিলে ঠিক করেছিলেন যদি এই ছবি ভালো চলে, তবে সবাই মিলে লন্ডন যাওয়া হবে। কিন্তু ছবি হিট করলেও বাধ সাধে অমিতাভ বচ্চনের বাবা। তিনি জানিয়েছিলেন, বাইরে যেতে হলে আগে বসতে হবে বিয়ের পিঁড়িতে। আর সেখান থেকেই শুরু পথ চলা।