মাত্র চার বছর বয়সে অভিনয়ের সফর শুরু, শ্রীদেবীর জোরাসিক ওয়ার্ল্ড ছবির জন্যও এসেছিল ডাক
বলিউডের সর্বকালের সেরা অভিনেত্রী আজ আর নেই। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি আজও ভুলতে পারেননি অনেকেই। দুবাইতে শেষ হয়ে যায় এভারগ্রীণ অভিনেত্রী শ্রীদেবীর জীবন। এমনকি তাঁর মৃত্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে আজও তিনি প্রাণবন্ত সতেজ সবুজ সকলের মনে। তাই তাঁর জন্মদিনটি ভক্তদের কাছে এক সেলিব্রেশন।
তাঁর একাধিক সৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে গোটা ভারত। মাত্র ৪ বছর বয়েসে অভিনয় জীবনে পথ চলা শুরু। বলিউডের পাশাপাশি তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের অভিনয়ের জাদুতে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন তিনি।
একাধিক পুরুষের রাতের ঘুমও কেড়ে নিয়েছিলেন এই সুপারস্টার অভিনেত্রী। চলুন জেনে নেওয়া যাক শ্রীদেবী সম্পর্কে কিছু অজানা কথা, যা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
মাত্র ৪ বছর বয়েসে অভিনয় জীবনের পথ চলা শুরু করেন শ্রীদেবী। সালটা ছিল ১৯৬৭। সিনেমাতে একটি দৃশ্যে রাস্তা পার করার কথা ছিল ছোট্ট শ্রীদেবীর। তবে সেই সময় খুবই ঘাবড়ে যান তিনি। সেই সময় রাস্তা পার করতে গিয়ে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায় শ্রীদেবীর।
লামহে’ সিনেমার শুটিং-এর সময় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বাবা মারা যান। সেই সময় শ্রীদেবী বাবার অন্তিম সংস্কার করে আবারও সেটে শুটিং করতে আসেন। শুধু তাই নয় সেই সময় অভিনেতা অনুপম খেরের সঙ্গে তাঁকে একটি কমেডি সিন শুট করতে হয়।
দীর্ঘ সময় সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর ২০১২ সালে শ্রীদেবী ‘English Vinglish’ সিনেমার মাধ্যমে আবারও বড় পর্দায় ফিরে আসেন। সিনেমাটি দর্শক এবং ক্রিটিকদের খুবই পছন্দ হয়। এর পাশাপাশি বক্স-অফিসে সিনেমাটি ৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে। এর আগে কোনও মহিলা কেন্দ্রিক সিনেমা বলিউডে এত ব্যবসা করতে পারেনি।
নিজের ফিল্ম কেরিয়ারে শ্রীদেবী ৫ বার বেস্ট অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। যার মধ্যে ৩ টি হিন্দি ছবির জন্য এবং ২ টি তামিল সিনেমার জন্য। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত করেন।
‘চালবাজ’ সিনেমার শুটিং-এর সময় শ্রীদেবীর প্রায় ১০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি জ্বর ছিল। সেই সময় ‘না জানে কাহাসে’ এই গানটি বৃষ্টিতে ভিজে শুট করতে হতো। সেই সময় শ্রীদেবী শুট না করলে প্রযোজকের অনেক মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতি হয়ে যেত। তাই ওই জ্বর নিয়েই তিনি বৃষ্টিতে ওই গানের শুটিং করেন।
১৯৯৩ সালে শ্রীদেবীর কাছে হলিউড সিনেমা ‘জোরাসিক ওরাল্ড’-এর জন্য অফার আসে। তিনি খুব ভালো করেই জানতেন এই ছবিটি খুবই বড় মানের সিনেমা হতে চলেছে। এই ছবিতে কাজ করলে শ্রীদেবীকে গোটা পৃথিবী চিনবে। তাও তিনি ওই অফার ফিরিয়ে দেন। কারণ সিনেমায় তাঁর চরিত্র শ্রীদেবীর পছন্দ হয়নি।
অভিনয়ের পাশাপাশি শ্রীদেবীর পেন্টিং-এরও শক ছিল। তাঁর তৈরি করা পেন্টিং বড় বড় আর্ট প্রদর্শনীতে নিলামও হতো। এরপর সলমন খানের উপদেশে শ্রীদেবী নিয়মিত পেন্টিং করা শুরু করেন। একবার তিনি সোনাম কাপুরেরও পোর্টরেট বানান।
‘জুদাই’ সিনেমার শুটিং-এর সময় শ্রীদেবীর মা মারা যান। সেই সময় শ্রীদেবী সব কিছু ছেড়ে নিজের মায়ের অন্তিম সংস্কার করেন। এমনকি তিনি রিতি রিবাজ ভেঙে নিজেই মায়ের চিতাতে আগুণ দিয়েছিলেন। কারণ হিসেবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর মা ছোটবেলা থেকে তাঁকে একজন ছেলে হিসেবেই মানুষ করেছিলেন।