ঐশ্বর্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, এই অভিনেতাদের বেঁচে থাকাই মুশকিল করে দিয়েছিলেন সলমন

বিবেক ওবেরয়ঃ ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিবেকের সম্পর্ক নিয়ে বেশ ক্ষিপ্ত ছিলেন সলমন খান। সেই রাগ আজও তাঁর মন থেকে মোছেনি। সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদেরই পরই ঐশ্বর্য বিবেকের সঙ্গে সম্পর্ক লিপ্ত হন। 

ঐশ্বর্যের সঙ্গে সম্পর্ক টেকেনি বিবেকের। হারিয়েছিলেন ছবির প্রস্তাব সহ নিজের কেরিয়ার। তিনি যাতে ভবিষ্যতে বলিউডে কাজ না করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করেছিলেন সলমন। 

বিবেক সলমনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সলমন তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন, ঐশ্বর্যের থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, এমন বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিলেন বিবেক। 

সত্যি সত্যি তাঁর কেরিয়ার আগ এগোয়নি। অভিনয়ের প্রতিভা থাকলেও বলিউডে আর কোনও পরিচালক-প্রযোজক এমনকি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। 

চন্দ্রচুর সিংঃ চন্দ্রচুরের সঙ্গে ঐশ্বর্যের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও জোশ ছবিতে অভিনয় করে সিনেপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছিলেন তিনি। ঐশ্বর্যের সঙ্গে তাঁর সিনেপর্দার রসায়ন নিয়ে কথা উঠতেই বিভিন্ন ছবি থেকে তাঁকে বের করার দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছিলেন সলমন। 

রণবীর কাপুরঃ বাকি দু'জনের মত রণবীরের পরিবার বলিউডে বহিরাগত নয়। কাপুর বংশের ছেলে সে। তাই তাঁর সঙ্গে সলমনের দ্বন্দ্ব খানিক ভিন্ন ছিল। 

প্রথমত ক্যাটরিনার সঙ্গে রণবীরের প্রেম নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল সলমনের। সল্লু মিঞাকেই ছেড়েই রণবীরের কাছে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা। কিছু বছর সম্পর্কও ছিল তাঁদের। 

লিভ ইনের পর বিয়ের কথা প্রায় পাকা হয়ে এসেছিল। সেই সময় সলমনের বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সলমন মঞ্চে উঠে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, "ক্যাটরিনার কাছে সুযোগ ছিল নিজের নামের পরে খান পদবিটি জোড়ার। তবে ম্যাডামের কাপুর বেশি পছন্দ।"

সূত্রের খবর, ক্যাটরিনার সঙ্গে রণবীরের বিচ্ছেদ তাঁর ক্যাসানোভা চরিত্রের জন্য নয়, সলমনের ভয় হয়েছিল। সলমন রণবীরকেও বেশ কয়েকটি ছবি থেকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন।

ক্যাটরিনার সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক নিয়ে সলমনের যতখানি তিক্ততা ছিল। সেই তিক্ততা বেড়ে গিয়েছিল এ দিল হ্যয় মুশকিল ছবিতে ঐশ্বর্যের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে।