মায়ের মৃত্যুর পর মেধাবী ছাত্রের অধঃপতন, তখন হাল না ছাড়লেও আজ হেরে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত

বহুদিন ধরে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আচার আচরণও ইন্ট্রোভার্টের মত। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনই মুখ খুলতে চাননি তিনি। তখনই মানসিকভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজকুত। সম্ভব ছিল না কারও পক্ষে বোঝা। খুব কম কথার মানুষ ছিল বলেই জানত বন্ধুরা। মানসিক অবসাদ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। যারা মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষদের পাগল বলে দাবি করে, তারা খুনির মতনই সমান দোষী। ছাত্র হিসেবে বিরল, অভিনেতা হিসেবেও তাই, কীভাবে সুশান্ত ঢোলে পড়লেন মানসিক অবসাদের কোলে।

Adrika Das | Published : Jun 14, 2020 11:18 AM IST

114
মায়ের মৃত্যুর পর মেধাবী ছাত্রের অধঃপতন, তখন হাল না ছাড়লেও আজ হেরে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত


ছাত্র হিসেবে তাঁর তুলনা হয় না। স্কুল-কলেজে শিক্ষক-শিক্ষিকার বড়ই প্রিয় ছিল সে। পাটনার সেন্ট ক্যারেন স্কুল এবং নয়া দিল্লির কুলচি হংসরাজ মডেল স্কুলে পড়াশুনা করেছিলেন তিনি। 

214

কেবল স্কুলজীবনেই নয় কলেজেও তাঁর পড়াশুনা নিয়ে রীতিমত সুনাম ছিল। পাটনা থেকে দিল্লি আসার সময় তাঁর মা প্রয়াত হন। মায়ের চলে যাওয়া ভিতর থেকে শেষ করে দিয়েছিল তাঁকে।

314

তবে হাল ছাড়েননি সুশান্ত। মন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। ফিজিক্সে ন্যাশানাল অলিম্পিয়াডের বিজেতা ছিলেন তিনি। তবে মোটা মোটা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বইয়ের মাঝে হাতছানি দিয়েছিল থিয়েটারের স্টেজ।

414

বইগুলো খোলা রেখেই কখন যে থিয়েটার এবং নাচের জগতে পাড়ি দেন নিজেও বোঝেননি। এদিকে পড়াশুনোয় মারাত্মক ক্ষতি হতে শুরু করল। অবশেষে লেখাপড়াকে একেবারে উপড়ের ট্রাঙ্কে তুলে দিয়ে নতুন পথচলা শুরু।

514

দিল্লি টেকনলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন শামক দাওয়ারের ডান্স ক্লাসে ভর্তি হন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে লাগল তাঁর।

614

অভিনয়ের প্রতি প্যাশন অনুভব করে তিনি বলেছিলেন, "আমি এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছিলাম। দর্শকের সঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে, নাচের মাধ্যমে কথোপকথনে বুঝলাম এটাই করতে চাই আজীবন।"

714

আজীবন আর হল কই। কীসের কারণ এত তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দিলেন সুশান্ত। শেষ ছবি 'ছিছোড়ে' আত্মহত্যা, মানসিক অবসাদ নিয়ে গল্প বুনেছিল।

814

সেই ছবির হিরোরই ঝুলন্ত দেহ এই ভাবে বান্দ্রার বাড়িতে পাওয়া যাবে কেউ ভাবেনি। শামাকের ডান্স ট্রুপে নাচ করার সুযোগ হতেই ৫১ তম ফিল্মফেয়ারে ব্যাকআপ ডান্সার হিসেবে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে পারফর্ম করেন। 

914

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার পর নাদিরা বব্বরের একজুতে থিয়েটার গ্রুপে জয়েন করেন। ২০০৮ সালে সুশান্তের অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করে বালাজি টেলিফিল্মসকে। 

1014

কিস দেশ ম্যয় হ্যয় মেরা দিল ধারাবাহিকে তাঁকে প্রথম চেলিভিশন স্ক্রিনে দেখা যায়। সেখানে তাঁর চার্মে দর্শকরা হতবাক হয়েছিলেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতে পবিত্র রিশতায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। 

1114

রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। দীর্ঘ কয়েক বছর টিআপপি রেটিংয়ে শীর্ষে ছিল পবিত্র রিশতা। এই ধারাবাহিকে কাজ করতে করতেই বলিউডে সুযোগ খুঁজতে শুরু করে বিহার থেকে আসা ছেলেটি।

1214

অভিষেক কাপুরের কাই পো ছে ফিল্মের হাত ধরে বলিউডে পদার্পণ সুশান্তের। রাজকুমার রাও এবং অমিত সাধের অভিনয়কে ছাপিয়ে গেল সুশান্তের প্রতিভা। 

1314

একের পর এক বড়ো ব্যানারের ছবির প্রস্তাব আসতে শুরু করল তাঁর কাছে। সুদ্ধ দেশি রোমান্স, পিকে, ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী, এমএস ধোনি, রাবতা। 

1414

তবে অধিকাংশ ছবিই বক্স অফিসে তেমন কামাল দেখাতে পারল না। সেই কারণেই কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। নাকি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাপোড়েনেই তাঁকে ঠেলে দিল মৃত্যুর দিকে। স্যুইসাইড নোট ছিল না ঘরে। তাই কারণটা বোধহয় রহস্যেই মাঝেই চাপা পড়ে গেল।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos