জীবনের ৫০ টি বসন্ত পেরিয়ে ৫১-তে পা দিলেন বলি অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। একসময় দিলীপ কুমার এবং রাজ কুমারের মতো সুপারস্টারদের সাথে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র সওদাগর ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মনীষা। খুব তাড়াতাড়িই যেন বি-টাউনে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল মনীষার। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেননি। একসময় চরম ড্রাগসের নেশা, মাদকাসক্ত হয়ে নিজের কেরিয়ারটা ধ্বংস করেছিলেন। কীভাবে একাধিক সম্পর্ক, নেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন মনীষা, জানলে অবাক হবেন।
৫১-তে পা দিলেন বলি অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। বলিউডে পা রাখার পর খুব তাড়াতাড়িই যেন খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল মনীষার। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেননি। একসময় চরম ড্রাগসের নেশা, মাদকাসক্ত হয়ে নিজের কেরিয়ারটা ধ্বংস করেছিলেন।
নেপালের রাজপরিবারে জন্ম মনীষা কৈরালার। দাদীর সঙ্গে বারাণসীতেই থাকতেন। দশম শ্রেণীতে পড়া শেষ করেই ১৯৮৯ সালে একটি নেপালি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান।
অভিনেত্রী নন বরং মনীষা চেয়েছিলেন ডাক্তার হতে এমনরী পড়াশোনার জন্যও দিল্লিতে এসেছিলেন। কিন্তু সেই ইচ্ছে আর পূরণ হল না। দিল্লিতে আসার পর, মডেলিংয়ের অফার পেতে শুরু করেন মনীষা।
মডেলিং করতে করতেই তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এবং তারপরেই তিনি মুম্বই চলে আসেন। নব্বইয়ের দশকে বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাই পরিচালিত 'সওদাগর' ছবিতে একটি নতুন মুখের প্রয়োজন ছিল। সেখানেই দেখা যায় মনীষাকে।
মডেলিং করতে করতেই তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এবং তারপরেই তিনি মুম্বই চলে আসেন। নব্বইয়ের দশকে বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাই পরিচালিত 'সওদাগর' ছবিতে একটি নতুন মুখের প্রয়োজন ছিল। সেখানেই দেখা যায় মনীষাকে।
'সওদাগর ' ছবিটি সেই বছরের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার হয়েছিল । আর জীবনের প্রথম ছবিই মনীষাকে রাতারাতি সুপারস্টার বানিয়েছিল। এরপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মনীষাকে।
একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন মনীষা। এই ছবির পর ইয়ালগার, ইনসানিয়াত কে দেবতা, আনমোল, মিলনের মতো ছবিতে অভিনয় করেন মনীষা। তবে এই ছবিগুলো বক্স অফিসে বিশেষ কিছু ছাপ রাখতে পারেনি।
'১৯৪২ লাভ স্টোরি' চলচ্চিত্রটি মনীষার ক্যারিয়ারকে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। তারপর একাধিক সিনেমা যেমন, অপরাধী, বোম্বে, অকেলে হাম আকেলে তুম, দুষ্মান, অগ্নিসাক্ষী, গুপ্ত, দিল সে, কচ্ছ ধাগে, মন ছাড়াও আর অনেক হিট ছবিতে অভিনয় করেন মনীষা।
তবে কেরিয়ারের শুরুতে মনীষা যে স্টারডম পেয়েছিলেন তা ধরে রাখতে পারেননি বেশিদিন। বেশ কিছু ফ্লপ ছবির কারণে তিনি মানসিক চাপে ভুগতে শুরু করেন। এবং ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে চলে যান মনীষা । তারপর থেকেই মাদক ও অ্যালকোহল, ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন মনীষা।
একাধিক প্রেম এসেছিল মনীষার জীবনে। বিবেক মুশরান, নানা পাটেকর, ডি জে হোসানে, সেসিল অ্যান্থনি, আরিয়ান বেদ, প্রশান্ত চৌধুরী, তারিক প্রেমজি, অক্ষয়, সন্দীপ চৌথা, ক্রিস্টোফার ডোরিস ছাড়াও আর অনেকের সঙ্গে রিলেশনে জড়ান মনীষা। শেষমেষ সম্রাট দাহাল কে বিয়ে করেন অভিনেত্রী।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নিজের ভার্জিনিটি লস করেন মনীষা। একাধিক সাক্ষাৎকারেও সেই কথা উঠে এসেছে। একাধিক সম্পর্ক, প্রেম, শরীরী নেশায় যেন আঁকড়ে ধরেছিল মনীষাকে। একটা সময় সেগুলোকে তাড়িয়ে উপভোগও করেছেন মনীষা।
মনীষার এই বদ অভ্যাসের কারণেই পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পাওয়াও ধীরে ধীরে কমে যায়। অ্যালকোহল এবং ওষুধের কারণে তার স্বাস্থ্যেরও অবনতি শুরু হয়। এবং ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান মনীষা।
মনীষার জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময় এসেছিল যখনক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। কিন্তু মনীষা হাল ছাড়েন নি।প্রথমে কাঠমান্ডুতে এবং পরে মুম্বাইতেই চিকিৎসা করান। তারপর ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় চলে যান। দীর্ঘ চার বছর চিকিৎসার পর ক্যান্সারকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন মনীষা।