ডিভোর্স ঝড়ে নাজেহাল সইফ, এক ধাক্কায় কতটাকা দিতে হয়েছিল সারার মা অমৃতাকে
সইফ আলি খানের প্রথম বিয়ে 13 বছরের মধ্যেই ভেঙে যায়। অমৃতা সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কখনো কোনো লুকোচুরি করেনি নবাব পুত্র। প্রকাশ্যে জানালেন তিনি অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে এমন কি হয়েছিল যার জন্য রাতের পর রাত কাঁদতে হত সইফকে।
সইফের কথায় তিনি অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন মানেই তার সঙ্গে তার সন্তানদের সম্পর্ক শেষ এমনটা নয়। তবে এটাই করে দিয়েছিলেন অমৃতা।
নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলেন সারা ও ইব্রাহিম এর সঙ্গে সাথে দেখা করা সম্ভব নয়। তাদেরকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। সইফের কথা অমৃত ধারণা ছিল দুই সন্তান মায়ের থেকে দূরে সরে যাবে।
নিরুপায় হয়ে সাইফ নিজের বলেতে দুই সন্তানের ছবি রাখতেন। মাঝেমধ্যে তা খুলে দেখে ঝরঝরে কাঁদতেন সাইফ। একবার কথা বলারও উপায় ছিল না তাঁর।
নিজের সন্তানদের প্রতি কেয়ার করতেন তিনি। তাই বিচ্ছেদের পর অ্যালুমনি নিয়ে খুব একটা তর্ক বিতর্ক করেননি নবাবপুর। দিয়েছিলেন নগদ টাকা।
5 কোটি টাকা তৎক্ষণাৎ ক্যাশ বার করা যাবে পক্ষে ছিল অসম্ভব। পাশাপাশি তিনি স্থির করেছিলেন প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে যতদিন না ইব্রাহিম বড় হচ্ছে।
কিন্তু এই ভার বহন করার ক্ষমতা তখনো হয়নি সাইফের। সালটা 2004। সেক্সের কথা তিনি শাহরুখ খান নন, তার উপার্জনক্ষম থেকে আসতো এত টাকা।
ছবি বিজ্ঞাপন হাতের কাছে যাইতেন তাই করতেন। যা টাকা পেতেন সবটা রেখে দিতেন অমৃতাকে দেবেন বলে। নিজে দুটো রুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
বর্তমানে দিন বদলেছে, এখন সাইফের ভাড়ার ফুলে-ফেঁপে উঠেছে, একের পর এক বিগবাজের ছবি তার ঝুলিতে। কারিনা কাপুর খানকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন নবাব পুত্র।