বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে রাতের পর রাত ধর্ষণ, পুলিশের জালে ধরা পড়ল কঙ্গনার BodyGuard

বিতর্ক যেন কখনওই তার পিছু ছাড়ছে না । একের পর এক নয়া বিতর্কে বারেবারেই শিরোনামে উঠে আসছেন কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউত।

কঙ্গনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী কুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে  ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সঙ্গম করেছেন কুমার তারপরেই নাকি বেঁকে বসেন যুবক।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ করেছেন কুমার। কঙ্গনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে  ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত।

 কর্ণাটক থেকেই কুমারকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। শুধু ধর্ষণ নয়, জালিয়াতি, সঙ্গমেরও অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বডিগার্ডের বিরুদ্ধে। আন্ধেরির এক বিউটিশিয়ান কুমারের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তার সঙ্গে সঙ্গম করেছে কুমার।

ইতিমধ্যেই  ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন আন্ধেরির ওই বাসিন্দা। তিনি আরও জানিয়েছেন কুমার নাকি ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছে নির্যাতিতার কাছ থেকে।

দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন কুমার। গত ১৯ মে কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ।  তারপর থেকেই মুম্বই থেকে পালিয়ে নিজের গ্রামে গিয়ে থাকতে শুরু করেন কুমার। এবং সেখান থেকেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন কঙ্গনার দেহরক্ষী।
 

গত বছর জুন মাসে বিয়েরও প্রস্তাব রেখেছিলেন কঙ্গনার বডিগার্ড। তারপর থেকে বহু বার শারীরিক সম্পর্কও করেছে কুমার। গত ২৭ এপ্রিল মহিলার থেকে টাকা নিয়ে কর্ণাটকে চলে যায় কুমার। তারপর থেকেই আর কোনও যোগাযোগ করতে পারছিল না ওই মহিলা। এবং এক বন্ধুকে দিয়ে পরে  কুমার জানায় সে সম্পর্ক রাখতে চায় না।

তারপর কুমারের মা ফোন করে নির্যাতিতাকে জানায় আগামী ৫ জুন কুমারের বিয়ে। এত বছরের সম্পর্ক ভুলে সে বিয়ে করেছে এটা মানতে না পেরেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।একাধিকবার কঙ্গনার সঙ্গে দেখা গিয়েছে কুমারকে। এমনকী কুইনের জন্মদিনেও ফ্রেমবন্দি হয়েছিলেন কুমার। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৩৭৬,৩৭৭, ৪২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে কুমারের বিরুদ্ধে।